ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে পতনের পর আওয়ামী লীগ তাদের সরকারের পতনের ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কৌশল নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।
দলটির বক্তব্য হচ্ছে, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ আরও ভরসা করছে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার ওপর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সরকারের ব্যর্থতা দলটির রাজনীতিতে ফেরার পথ সহজ করছে বলে এর নেতাদের অনেকে বলছেন।
তবে জুলাই—অগাস্টের আন্দোলনে দমননীতি চালানো ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগের অনুশোচনা প্রকাশের কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। এ নিয়ে রাজনীতিতে সমালোচনা রয়েছে।
বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থেকে দলকে দেশের ভেতরে সক্রিয় করা সম্ভব কি না, আওয়ামী লীগের ভেতরেই এই প্রশ্ন ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ঢাকায় দলকে সংগঠিত করার জন্য লোক খুঁজেছিল দলটি। কিন্তু কেউ সাহস দেখাননি।
তবে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন—এক বছর ধরে ভারতে অবস্থান করেই শেখ হাসিনা জেলা-উপজেলা এবং এমনকি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ রেখেছেন। ভার্চুয়ালি অনেক বৈঠকও করেছেন।এখন সেই যোগাযোগ আরও বেড়েছে।
বর্তমানে দলটির অন্যতম একজন মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন আলী আরাফাত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত যোগাযোগ বেড়েছে।’
তিনি দাবি করেছেন—তাদের দল এখন অনেক বেশি সংগঠিত হয়েছে।