জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা বলেছেন—ঘোষিত প্রতীক তালিকা থেকে ‘নৌকা’ প্রতীকটি এখনো বাদ দেওয়া হয়নি, যদিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ অবস্থায় আইনগতভাবে তাদের প্রতীক তালিকায় রাখা সমীচীন নয়।
রোববার নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট জহিরুল বলেন, উত্থাপিত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে ইসি।
প্রতীক ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আমরা তিনটি প্রতীক—শাপলা, কলম ও মোবাইল—চেয়েছি বটে, তবে আমাদের মূল ও একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শাপলা প্রতীকটি আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হোক।’
এনসিপির এই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন ‘যদিও এর আগে নাগরিক ঐক্য শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, তবে নিবন্ধনের সময় তারা কেটলি প্রতীক পেয়েছে। এখন তারা যদি নতুন প্রতীক চায়, তাহলে নিয়মমাফিক নতুন আবেদন করতে হবে। সেখানে আমরা নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আইনি দিক থেকে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।’
জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২২ জুন আমরা ৪৩,৩১৬ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ দরখাস্ত নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। তার অগ্রগতি জানতে চেয়েছি এবং প্রয়োজনে আরও কোনো তথ্য বা নথি লাগলে আমাদের জানাতে অনুরোধ করেছি।’
বৈঠকে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা ছাড়াও অংশ নেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং যুগ্ম অভিযোগকারী খালিদ সাইফুল্লাহ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। তার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ সংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ইলেকশন কমিশন ।