জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আয়োজন এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারীদের ভোটে অযোগ্য করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। বাকি দুটি দাবি হচ্ছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে সংসদীয় সীমানা চূড়ান্ত এবং নির্বাচনি ব্যয় বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকার বিধানযুক্ত করে আরপিও সংশোধন করা। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে তারা এসব দাবি জানান। বৈঠক শেষে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ তাদের দাবির কথা সাংবাদিকদের জানান। এদিন বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির একটি প্রতিনিধি দলও সিইসির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে।
এদিন বিকাল ৩টার দিকে এনডিএমের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। পরে ববি হাজ্জাজ সাংবাদিকদের বলেন, আরপিও-এর প্রার্থীর অযোগ্যতায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাদের যেন কোনোভাবে লুকিয়ে ভোটে অংশগ্রহণ না করতে পারে—সে বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব তুলে ধরার পরামর্শ দেন সিইসি। এক প্রশ্নের জবাবে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি আইন পাস করে প্রজ্ঞাপন জারি করে, আইনের লেটার অব দ্য ল মেইনটেইন হতে হবে। নিবন্ধন স্থগিত, যতক্ষণ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ না উঠানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করতে হবে।
নির্বাচনের ব্যয়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, প্রার্থীকে যদি বিলবোর্ড ভাড়া করতে হয়, তাহলে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্বাচনি প্রচার সম্ভব নয়। এটাই বাস্তব।
সিইসির সঙ্গে আমজনগণ পার্টির সাক্ষাৎ: এদিন বিকাল ৪টার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক মো. রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। নিবন্ধন প্রত্যাশী এই দলটির প্রতীক আনারস। পরে রফিকুল আমীন বলেন, আমরা সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। আশা করি আগামীতে একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। আমরা চাই উৎসবমুখর নির্বাচন। নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে এ দেশে একটি নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে চাই।