রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে ড্র করে কিছুটা চাপেই ছিলেন জাবি আলোনসো। ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার বিপক্ষে তাই জয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। এমনকি অনুশীলনে প্রস্তুতির সময় ড্রোন ব্যবহার করেও এসেছিলেন আলোচনায়।
অবশেষে মরিয়া আলোনসো রিয়ালের হয়ে কোচ হিসেবে নিজের প্রথম জয়টা পেয়েই গেছেন। পুঁচকে পাচুকার বিপক্ষে রিয়াল জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। ব্যবধানটা বড় হলেও জয়টা রিয়ালের জন্য সহজ ছিল না।
শার্লটের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রিয়াল সেন্টার ব্যাক রাউল অ্যাসেনসিও। বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে আক্রমণে যাওয়া সলোমন রনডনকে বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করে বসেন অ্যাসেনসিও। আর এই ফাউলেই দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারকে হারাতে হয় রিয়ালকে।
একজন কম নিয়ে ম্যাচের বাকি সময় রিয়ালকে বেশ ভালোই পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ম্যাচে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে রিয়ালের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল পাচুকা। ম্যাচজুড়ে ২৫টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখে তারা। যেখানে ১০টি শট একাই সেভ করেছেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। যা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে কোনো গোলরক্ষকের সর্বোচ্চ সেভ।
পাচুকা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে না পারলেও রিয়াল গোল করার কাজটা ঠিকই করেছে। ৫৭ শতাংশ বলের দখল রেখে ৮টি শট নেওয়া রিয়াল গোল করেছে তিনটি। একজন কম নিয়ে রিয়াল প্রথম গোলটি করে ম্যাচে ৩৫ মিনিটে। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন জুড বেলিংহাম।
৪৩ মিনিটে গোল করে রিয়ালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্দা গুলের। আর বিরতির পর ৭০ মিনিটে রিয়ালের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ফেদে ভালভের্দে। শেষ দিকে পাচুকার হয়ে মন্তিয়েল এক গোল শোধ করলেও তা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।
এই জয়ের পর গ্রুপ ‘এইচ’র শীর্ষে উঠে এসেছে রিয়াল। ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৪। সমান ম্যাচে সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গোলব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে আছে সালজবুর্গ। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী শুক্রবার সালজবুর্গের মুখোমুখি হবে রিয়াল।
ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ আলোনসো বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জয় ছিল। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই জয় আমাদের জন্য মহামূল্যবান। প্রায় পুরো ম্যাচটাই একজন কম নিয়ে খেলা খুবই পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপার ছিল। তবে আমরা যেভাবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলা পরিচালনা করেছি, তাতে আমি খুবই তুষ্ট।’