মিচেল স্টার্কের সাহসী ব্যাটিং স্বপ্ন দেখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। অজিদের মুখে ফুটিয়েছিল হাসি। তবে তৃতীয় দিন শেষে সেই হাসি আর স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এইডেন মার্করাম। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে প্রিয় জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রোটিয়া শিবিরে এখন বইছে কেবল শিরোপার সুবাস। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য তাদের দরকার মাত্র ৬৯ রান। হাতে ৮ উইকেটের সঙ্গে রয়েছে পুরো দুটি দিন।
প্রথম দুই দিন ছিল বোলার প্যাট কামিন্স, ক্যাগিসো রাবাদা আর লুঙ্গি এনগিডির দাপট। তৃতীয় দিনে এসে আচরণ বদলে গেছে লর্ডসের পিচের। বোলিং পিচ এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটিং স্বর্গ। তাই তো পেসারদের হাত থেকে লাল বলের ম্যাচটির নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছে ব্যাটসম্যানদের হাতে। আর ব্যাটসম্যানরা আধিপত্য বিস্তার করায় আফ্রিকান দলটি এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়া দোড়গড়ায়। চার দিনেই ম্যাচ শেষ করার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় মার্করাম-বাভুমারা।
ওপেনার মার্করাম ১০২* রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়ে গেছেন। ১৫৯ বলের দাপুটে ইনিংসটি সাজান ১১টি দর্শনীয় বাউন্ডারিতে। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া টেম্বা বাভুমা। প্রোটিয়া অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫* রানের হার না মানা দারুণ এক ইনিংস। দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং ঝলকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রানের পুঁজি করে অজিরা। প্রথম ইনিংসে লিড ছিল ৭৪ রানের। সে সুবাদে জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে ২৮২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় প্যাট কামিন্সরা। স্টার্ক ৫৮* রানের হার মানা ইনিংস খেলেন। ৯ নম্বর নেমে দেখা পান অষ্টম ফিফটির। টেস্ট ইতিহাসে ৯ বা তার নিচে নামা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড এটি। জশ হ্যাজলউডের সঙ্গে দশম উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন স্টার্ক। লর্ডসে অ্যাওয়ে দলের দশম উইকেটে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। আর দলীয় স্কোরে ৪৩ রান যোগ করেন অ্যালেক্স কেরি। ক্যাগিসো রাবাদা নেন চার উইকেট। আর তিনটি উইকেট শিকার করেন লুঙ্গি এনগিডি। তার আগে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : প্রথম ইনিংস ২১২ ও দ্বিতীয় ইনিংস ২০৭ (স্টার্ক ৫৮*, ক্যারি ৪৩; রাবাদা ৪/৫৯ ও এনগিডি ৩/৩৮)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : প্রথম ইনিংস ১৩৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস ২১৩/২ (মার্করাম ১০২, বাভুমা ৬৫; স্টার্ক ২/৫৩)।
*তৃতীয় দিন শেষে