লালমনিরহাট জেলায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের এক বিমানঘাঁটি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চীনের সাহায্য নিয়ে এ বিমানঘাঁটি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ভারতের চিকেন নেক হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডরের কাছাকাছি এ বিমানঘাঁটি চালুর বিষয়ে শঙ্কিত নয়াদিল্লি। এর জেরে বাংলাদেশের পূর্বে ভারতীয় ত্রিপুরা প্রদেশের কৈলাশনগরে ১৯৭১ সালে ব্যবহৃত এক বিমানঘাঁটি নতুন করে চালু করতে যাচ্ছে দিল্লি।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে এবং গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানঘাঁটি চালু করা হচ্ছে।
ভারতে শেখ হাসিনাকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এর বিপরীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক চলছে ভারতের।
কৈলাশনগরের বিমানঘাঁটি ১৯৯০-এর দশকে বন্ধ করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এ ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘কিলো ফ্লাইট’ কোডনেমের বিমান অভিযান এ বিমানঘাঁটি থেকে চালানো হয়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে কানাডার তৈরি একটি ডিএইচসি-৩ ওটার প্লেন ও ফ্রান্সের তৈরি একটি অ্যালোট টু হেলিকপ্টার নিয়ে নবগঠিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা ভারতীয় কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় বিমান হামলা চালায়।
গত সোমবার ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল বিমানঘাঁটি প্রদর্শন করে। সাংবাদিকদের তারা জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পরিকল্পনা করা হবে।
এদিকে চীন থেকে পাকিস্তানকে স্টিলথ যুদ্ধবিমান সরবরাহের খবরে নিজস্ব প্রযুক্তিতে স্টিলথ যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে দিল্লি। গতকাল মঙ্গলবার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এ পরিকল্পনার অনুমোদন দেন। রাষ্ট্রীয় অ্যারোনেটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পঞ্চম প্রজন্মের এ বিমানগুলো টুইন ইঞ্জিনের হবে।