পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদসহ ৯ স্থানে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ২৫ জন।
পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হামলাগুলো মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর ভারতের আকাশসীমা থেকেই চালানো হয়। পাকিস্তান একে ‘কাপুরুষোচিত’ আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং এর জবাব দেওয়া শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ভাওয়ালপুরের আহমেদপুরে একটি মসজিদে হামলায় এক শিশু নিহত ও ১২ জন আহত। কাছাকাছি বাড়িতে আটকা পড়েছে এক পরিবার। কোটলিতে হামলায় নিহত ২ জন বেসামরিক নাগরিক, একটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া, মুজাফ্ফরাবাদে একটি সড়কে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে, তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
এছাড়া, দুইজন পাকিস্তানি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইএসপিআর প্রধান। পাকিস্তানি বাহিনী স্থল ও আকাশপথে পাল্টা হামলা শুরু করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতীয় সরকার জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ভারতের দাবি, ‘এই অভিযান কেবল সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে; কোনো সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করা হয়নি।’
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে অচলাবস্থা ও সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ভারতের এই সর্বশেষ পদক্ষেপ তারই প্রতিক্রিয়া বলে বিশ্লেষকদের মত।