বার্সেলোনার ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগ ছিল নাটকীয়তায় ঠাসা। প্রতি মুহূর্তে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে হয়েছে ছয় গোল। গোলবন্যা হলেও দুই দলকে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তাই ফাইনালে ওঠার ফয়সালা হবে আজ রাতে ইন্টার মিলানের মাঠ সানসিরোতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে।
প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা বলে খানিকটা পিছিয়ে থাকবে বার্সেলোনা। বাঁচা-মরার ম্যাচে ইন্টারের সমর্থকদের সামনে নিজেদের সেরাটা দিতে কাতালানদের লড়তে হবে সর্বস্বটা দিয়ে। তবে এর জন্য তারা অনুপ্রেরণা নিতে পারে প্রথম লেগ থেকে। সেখানে আক্রমণাত্মক ফুটবলে বার্সেলোনা প্রমাণ করেছে মৌসুম স্মরণীয় করে রাখতে সব রসদই আছে তাদের কাছে। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে বারবার পিছিয়ে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছে হারার আগে হারে না তারা। নিজেদের মধ্যে আছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। তবে সানসিরোতে বার্সেলোনার সবশেষ অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। ২০২২ সালের ওই ম্যাচে ইন্টারের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল কাতালানরা। দারুণ ছন্দে থাকা বার্সেলোনা চাইবে না ওই স্মৃতির পুনরাবৃত্তি হোক।
পুরোনো স্মৃতি যখন নিজেদের পক্ষে কথা বলছে, তখন ইন্টার মিলানের ডেরায় থাকবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। সঙ্গে ঘরের মাঠে নিজ দর্শকদের সমর্থন তো আছেই। পাশাপাশি আরো একটি রেকর্ড কথা বলছে ইন্টারের পক্ষে। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১১ সেমিফাইনালের ৯টিতেই জয় পেয়েছে দলটি। এ ছাড়া বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-৩-এ ড্রয়ের পর ভেরোনাকে নিজেদের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হারায় ইন্টার মিলান। তাতে সিমিওনে ইনজাঘির শিষ্যরা পাচ্ছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। সানসিরোতে এই আত্মবিশ্বাসের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে ভাঙতে পারে বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন।
এই ম্যাচের আগে দুদলেই আছে ইনজুরি সমস্যা। প্রথম লেগে পাওয়া চোটের কারণে জুলস কুন্দেকে পাবে না বার্সেলোনা। তবে কাতালান ডেরায় দেখা যাবে পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডোভস্কিকে। অন্যদিকে ইন্টার মিলান আর্জেন্টাইন তারকা লাওতারো মার্টিনেজকে এই ম্যাচে মিস করার সম্ভাবনাই বেশি। ইতালিয়ান গণমাধ্যমগুলোর খবর চোট সারিয়ে দ্বিতীয় লেগেই মাঠে ফিরতে মরিয়া হয়ে আছেন মার্টিনেজ।
এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ইন্টারকে শক্ত প্রতিপক্ষ মানলেও সহজে হাল ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তার কথায়, ‘এটা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল। এখানে ইউরোপের সেরা চার দল আছে। আমাদের নিজেদের মতো করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে হবে। আমরা জানি আমরা মাঠে কী করতে পারি। এই ৯০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে ইন্টার কোচ ইনজাঘি সমর্থকদের বাড়তি সমর্থনকে সঙ্গী করে ঘরের মাঠে ম্যাচ জিততে চান। তার কথায়, ‘সেমিফাইনাল খুবই কঠিন লড়াই। আমাদের সমর্থকরা জানে কঠিন সময়ে আমরা কীভাবে সেরাটা দিয়ে খেলি। আমাদের জন্য এটাই ‘ফাইনাল’।’