বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৬ অপরাহ্ন

আইএমএফ ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত ৫ মে

  • সময়: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৯.১৫ এএম
  • ৮ জন

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসন্তকালীন বৈঠকে সুরাহা হয়নি। আগামী ৫ মে বাংলাদেশে আইএমএফের স্টাফ লেভেলের সঙ্গে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ঋণের কিস্তি ছাড়ের আশা করছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত এক সেমিনারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এসব কথা জানান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ। ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংক বসন্তকালীন বৈঠকে রাজস্ব আয় বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিছু জায়গায় একমত হওয়া যায়নি। এটি নিয়ে আলোচনা অব্যহত আছে। আগামী ৫ মে স্টাফ লেভেল মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপর ২৩ মে বোর্ড সভায় অনুমোদন হলে ঋণের কিস্তি পাওয়া যাবে। তবে আলোচনায় ঐকমত্যের হওয়ার ওপর ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, আইএমএফ রাজস্ব আয় বাড়াতে যেসব পরামর্শ দিয়েছে তার বেশিরভাগ জায়গায় একমত হয়েছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কয়েকটি ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে একমত হলে চুক্তি সই হবে।

গণি মিয়ার উদাহরণ দিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। যাতে  পরবর্তী প্রজন্মের ওপর ঋণের বোঝা না বাড়ে। সরকার রাজস্ব আয় না বাড়িয়ে এবং বেশি ঋণের মাধ্যমে বেশি ব্যয় করে ‘গণি মিয়ার’ মতো সমস্যায় পড়তে চায় না।

আবদুর রহমান বলেন, করছাড় নিয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। ওই নীতির কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। এটি বাস্তবায়ন অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে নীতিতে কর ছাড়ের বিষয়টি এনবিআরের হাতে থাকবে না। এটি সংসদের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেওয়া হবে।

মাশরুর রিয়াজ বলেন, টাকা পাচার কমেছে, তবে বন্ধ হয়নি। এই কারণে হুন্ডি কমেছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পঠানো বাড়ছে। বাজেটে রেমিট্যান্স বাড়াতে নজর রাখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এটি ধরে রাখতে পারলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক নীতি ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে সমন্বয় থাকতে হবে। বাজেটে এর প্রতিফলন থাকা জরুরি।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com