ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর এখনো শিরোপা ওঠেনি মোহামেডানের ঘরে। সবশেষ ২০০৯-১০ মৌসুমে দলটি ডিপিএলের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। এবার সেই শিরোপা ঘোচানোর খুব কাছে দাঁড়িয়ে মতিঝিলপাড়ার দলটি। আজ আবাহনীর বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা উঠবে তাদের ঘরে। অন্যদিকে গত মৌসুমে তৃতীয় দফায় হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বাদ পাওয়া আবাহনীর সামনেও আছে একই সুযোগ। মোহামেডানকে হারাতে পারলেই তাদের হাতে উঠবে ডিপিএলের শিরোপা। এই ম্যাচের আগে আবাহনীর কোচ হান্নান সরকারের কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। অন্যদিকে মোহামেডানের পেসার ইবাদত হোসেন শিরোপা জিততে চেয়েছেন সবার দোয়া।
‘অলিখিত ফাইনালের’ আগে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায়। জাতীয় দলে ব্যস্ত থাকা মুশফিকুর রহিমসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ক্রিকেটারকে হারিয়ে চিন্তায় মোহামেডান। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞার খড়গে আবাহনীর বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে পাবে না দলটি।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রনি তালুকদার-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞদের কাছে সেরাটা চাইবেন দলটির সমর্থকরা। অন্যদিকে নাসুম আহমেদ-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো ক্রিকেটারদের কাছেও থাকবে বাড়তি চাওয়া।
মোহামেডান পেসার ইবাদত হোসেন বলেন, ‘আমরা দল হিসেবে খুব ভালোভাবে খেলেছি। খুব ভালোভাবে এগিয়েছি। আগামীকাল (আজ) ফাইনাল (শেষ ম্যাচ) ম্যাচ, দোয়া করবেন যেন আমরা জিততে পারি। মোহামেডান অনেক বছর ধরে শিরোপা জিততে পারেনি। আলহামদুল্লিলাহ এই বছর দলটা অনেক ভালো ছিল। দলের পরিবেশ ভালো, যার কারণে শেষ পর্যন্ত আমরা ফাইনালে (শিরোপার দৌড়ে) উঠেছি, দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’
অন্যদিকে জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার না থাকলেও বেশ ভালোভাবে সুপার লিগে এগিয়েছে আবাহনী। তরুণদের ওপর ভরসা রাখা দলটি সুপার লিগে কোনো ম্যাচেই পায়নি হারের স্বাদ। রবিন রাউন্ড লিগে মোহামেডানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ হেরেই খানিকটা বিপদে পড়েছিল। ওই ম্যাচে জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারকেই পেয়েছিল দুই দল। তবে এবারের লড়াইয়ে তাদের ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। তাই তো আবাহনী-মোহামেডান লড়াইটা হতে পারে সমানে সমান।