রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

টেলিকমেও সালমানের থাবা হাতিয়েছেন সোয়া ৬০০ কোটি টাকা

  • সময়: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৯.২৮ এএম
  • ২০ জন

সালমানের থাবা থেকে রক্ষা পায়নি টেলিকম সেক্টর। শেয়ারবাজারের মতো এই সেক্টরকে ফতুর করেছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার এই উপদেষ্টা। আন্তর্জাতিক কল পরিচালনায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক গেটওয়ের (আইজিডব্লিউ) অপারেটরের ব্যবসা কুক্ষিগত করার পর নিজ কোম্পানির নামে প্রায় ৬২৫ কোটি টাকা হাতিয়েছে নিয়েছেন তিনি। আইজিডব্লিউ ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে তিনি কুক্ষিগত করেছেন। এই গেটওয়ে থেকে প্রভাব খাটিয়ে পুরো টাকা তিনি সংগ্রহ করেছেন।

এতে আইজিডব্লিউতে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেকেই বিষয়টি বুঝলেও সালমানের প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নামে-বেনামে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন সালমান। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপারেটরদের বাধ্যতামূলকভাবে সালমান তার নিজের প্রতিষ্ঠানে টাকা প্রেরণ করান।

শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় পতিত স্বৈরাচারের সাবেক এমপি ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, জাহাঙ্গীর কবির নানককেও (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স পাইয়ে দেন সালমান। এই লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে বড় ধরনের টাকা লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় অর্থ হাতিয়ে নিতেই এদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার করার সাহস পাননি। শুধু তাই নয়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও সালমান এফ রহমান অনেকটা চাপ সৃষ্টি করেই তাদের এ পরিকল্পনায় নিয়ে আসেন ১৮ সদস্যকে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদকের শরণাপন্ন হয়েছে বিটিআরসি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গেটওয়েতে টাকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটা বিশৃঙ্খলা ছিল।

আইজিডব্লিউয়ের সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভয়ারণ্য হয়ে উঠে টেলিকম খাত। এই খাতে সালমান এফ রহমান এক ভয়াবহ এক সিন্ডিকেট তৈরি করে। এই সিন্ডিকেটের বাইরে যেই প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিত তাকেই পথে বসিয়ে দেওয়া হতো অথবা নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হতো।

তৎকালীন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে মিলে সে সময়ের ২৩টি বেসরকারি অপারেটরের মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন সালমান এফ রহমান। এর মধ্য দিয়ে তিনি আইজিডব্লিউ অপারেটরে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করেন। আর এর মধ্যে সালমান আবার নিজের নামে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। আইজিডব্লিউগুলো একই লাইসেন্সের আওতায় থাকার কথা থাকলেও দুটি বড় স্তরে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে টিয়ার-১-এ ১৬টি এবং টিয়ার-২-এ ৭টি প্রতিষ্ঠান স্থান পায়।

বিটিআরসি তাড়াহুড়া করে টিয়ার-২-এর (আইওএস সুইচ পরিচালনাকারী) সাতটি আইজিডব্লিউর নাম চূড়ান্ত করে ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইউনিক ইনফোওয়ে, ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন্স, রুটস কমিউনিকেশন্স, গ্লোবাল ভয়েস, মীর টেলিকম, বাংলা ট্র্যাক ও নভো টেলিকম।

সূত্র জানায়, ১৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে সালমানের প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকো কম্পিউটার লিমিটেড ২৪৯ বার, বাংলাট্রাকে ২৫ বার, গ্লোবাল ভয়েস টেলিকমের অ্যাকাউন্টে ৪২ বার ডিজকোনের অ্যাকাউন্টে ২৫ বার এবং ইউনিক ইনফোওয়ে, ১ বার টাকা পাঠানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক সালমান এফ রহমান। তিনি কায়দা করে অন্য সব প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তবে জানা গেছে, ২০১২ সালে ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন্স তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাতিজা সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপসের সুপারিশে লাইসেন্স পায়। যদিও বিটিআরসির রাজস্ব না দেওয়ায় ২০১৩ সালের জুলাই মাসে এ প্রতিষ্ঠানটিকে ব্লক করা হয়েছিল। রুটস কমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের স্ত্রী গুলশান আরা। গ্লোবাল ভয়েসের মালিকানায় রয়েছেন এ কে এম শামসুদ্দোহা। এই কোম্পানিতে ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তবে মোবাইল অপারেটরদের টাকা পরিষদের জন্য ‘মার্কেট ডেভেলপমেন্ট এক্সপেন্স’ একটি নামে একটি আলাদা ফান্ড করা হলেও সেটি খুব একটা কাজে আসেনি।

সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বেই টিয়ার-২ তে থাকা সাতটি অপারেটরের সিন্ডিকেট টাকা হাতিয়ে নেয়। সালমান কৌশলে অপারেটরদের থেকে সংগ্রহ করা ৬০ শতাংশ অর্থ থেকে প্রতি মাসে নেটওয়ার্ক উন্নত করার নামে মে ১০ শতাংশ হারে অর্থ কেটে নিয়ে নিত। ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত হিসাবে আইজিডব্লিউ অপারেটর থেকে বাজার উন্নয়ন ব্যয়ের নামে কর্তন করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬২৫ কোটি টাকা। যার বিপরীতে কোনো সেবাই প্রদান করা হয়নি। অন্যদিকে কোথায় এবং কীভাবে এই অর্থ ব্যয় হয়, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যও নেই কারো কাছে। সব মিলিয়ে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, আইজিডব্লিউ তাদের রাজস্বের ৪০ শতাংশ বিটিআরসি, ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ আইসিএক্স এবং ২২ দশমিক ৫ শতাংশ এএনএসের কাছে পরিশোধ করে থাকে। টিয়ার-১ ও টিয়ার-২-এর রাজস্ব বণ্টনের হার ১ অনুপাত ১ দশমিক ৯০ (১:১.৯০)। গত ১২ বছরে প্রতিটি আইওএস অপারেটরের আয় ৩৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি। যেখানে প্রতিটি নন-আইওএস অপারেটরের আয় মাত্র ১৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ একই লাইসেন্সধারী হয়েও ৯ বছরে একটি আইওএস অপারেটর নন-আইওএস অপারেটরের চেয়ে ১৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি আয় করছে। অন্যদিকে ৯ বছর ধরে অনেক অপারেটর এই সিন্ডিকেটের কারণে নিঃস্ব হওয়ার পথে।

সালমানের থাবা থেকে রক্ষা পায়নি টেলিকম সেক্টর। শেয়ারবাজারের মতো এই সেক্টরকে ফতুর করেছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার এই উপদেষ্টা। আন্তর্জাতিক কল পরিচালনায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক গেটওয়ের (আইজিডব্লিউ) অপারেটরের ব্যবসা কুক্ষিগত করার পর নিজ কোম্পানির নামে প্রায় ৬২৫ কোটি টাকা হাতিয়েছে নিয়েছেন তিনি। আইজিডব্লিউ ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে তিনি কুক্ষিগত করেছেন। এই গেটওয়ে থেকে প্রভাব খাটিয়ে পুরো টাকা তিনি সংগ্রহ করেছেন।

এতে আইজিডব্লিউতে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেকেই বিষয়টি বুঝলেও সালমানের প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নামে-বেনামে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন সালমান। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপারেটরদের বাধ্যতামূলকভাবে সালমান তার নিজের প্রতিষ্ঠানে টাকা প্রেরণ করান।

শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় পতিত স্বৈরাচারের সাবেক এমপি ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, জাহাঙ্গীর কবির নানককেও (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স পাইয়ে দেন সালমান। এই লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে বড় ধরনের টাকা লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় অর্থ হাতিয়ে নিতেই এদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার করার সাহস পাননি। শুধু তাই নয়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও সালমান এফ রহমান অনেকটা চাপ সৃষ্টি করেই তাদের এ পরিকল্পনায় নিয়ে আসেন ১৮ সদস্যকে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদকের শরণাপন্ন হয়েছে বিটিআরসি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গেটওয়েতে টাকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটা বিশৃঙ্খলা ছিল।

আইজিডব্লিউয়ের সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভয়ারণ্য হয়ে উঠে টেলিকম খাত। এই খাতে সালমান এফ রহমান এক ভয়াবহ এক সিন্ডিকেট তৈরি করে। এই সিন্ডিকেটের বাইরে যেই প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিত তাকেই পথে বসিয়ে দেওয়া হতো অথবা নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হতো।

তৎকালীন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে মিলে সে সময়ের ২৩টি বেসরকারি অপারেটরের মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন সালমান এফ রহমান। এর মধ্য দিয়ে তিনি আইজিডব্লিউ অপারেটরে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করেন। আর এর মধ্যে সালমান আবার নিজের নামে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। আইজিডব্লিউগুলো একই লাইসেন্সের আওতায় থাকার কথা থাকলেও দুটি বড় স্তরে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে টিয়ার-১-এ ১৬টি এবং টিয়ার-২-এ ৭টি প্রতিষ্ঠান স্থান পায়।

বিটিআরসি তাড়াহুড়া করে টিয়ার-২-এর (আইওএস সুইচ পরিচালনাকারী) সাতটি আইজিডব্লিউর নাম চূড়ান্ত করে ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইউনিক ইনফোওয়ে, ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন্স, রুটস কমিউনিকেশন্স, গ্লোবাল ভয়েস, মীর টেলিকম, বাংলা ট্র্যাক ও নভো টেলিকম।

সূত্র জানায়, ১৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে সালমানের প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকো কম্পিউটার লিমিটেড ২৪৯ বার, বাংলাট্রাকে ২৫ বার, গ্লোবাল ভয়েস টেলিকমের অ্যাকাউন্টে ৪২ বার ডিজকোনের অ্যাকাউন্টে ২৫ বার এবং ইউনিক ইনফোওয়ে, ১ বার টাকা পাঠানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক সালমান এফ রহমান। তিনি কায়দা করে অন্য সব প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তবে জানা গেছে, ২০১২ সালে ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন্স তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাতিজা সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপসের সুপারিশে লাইসেন্স পায়। যদিও বিটিআরসির রাজস্ব না দেওয়ায় ২০১৩ সালের জুলাই মাসে এ প্রতিষ্ঠানটিকে ব্লক করা হয়েছিল। রুটস কমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের স্ত্রী গুলশান আরা। গ্লোবাল ভয়েসের মালিকানায় রয়েছেন এ কে এম শামসুদ্দোহা। এই কোম্পানিতে ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তবে মোবাইল অপারেটরদের টাকা পরিষদের জন্য ‘মার্কেট ডেভেলপমেন্ট এক্সপেন্স’ একটি নামে একটি আলাদা ফান্ড করা হলেও সেটি খুব একটা কাজে আসেনি।

সূত্র জানায়, সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বেই টিয়ার-২ তে থাকা সাতটি অপারেটরের সিন্ডিকেট টাকা হাতিয়ে নেয়। সালমান কৌশলে অপারেটরদের থেকে সংগ্রহ করা ৬০ শতাংশ অর্থ থেকে প্রতি মাসে নেটওয়ার্ক উন্নত করার নামে মে ১০ শতাংশ হারে অর্থ কেটে নিয়ে নিত। ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত হিসাবে আইজিডব্লিউ অপারেটর থেকে বাজার উন্নয়ন ব্যয়ের নামে কর্তন করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬২৫ কোটি টাকা। যার বিপরীতে কোনো সেবাই প্রদান করা হয়নি। অন্যদিকে কোথায় এবং কীভাবে এই অর্থ ব্যয় হয়, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যও নেই কারো কাছে। সব মিলিয়ে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, আইজিডব্লিউ তাদের রাজস্বের ৪০ শতাংশ বিটিআরসি, ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ আইসিএক্স এবং ২২ দশমিক ৫ শতাংশ এএনএসের কাছে পরিশোধ করে থাকে। টিয়ার-১ ও টিয়ার-২-এর রাজস্ব বণ্টনের হার ১ অনুপাত ১ দশমিক ৯০ (১:১.৯০)। গত ১২ বছরে প্রতিটি আইওএস অপারেটরের আয় ৩৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি। যেখানে প্রতিটি নন-আইওএস অপারেটরের আয় মাত্র ১৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ একই লাইসেন্সধারী হয়েও ৯ বছরে একটি আইওএস অপারেটর নন-আইওএস অপারেটরের চেয়ে ১৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি আয় করছে। অন্যদিকে ৯ বছর ধরে অনেক অপারেটর এই সিন্ডিকেটের কারণে নিঃস্ব হওয়ার পথে।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com