কর্মকর্তাদের সেফ ডিপোজিট লকার খুলতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আট সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ ব্যাংকে। আদালতের অনুমতির প্রেক্ষিতে রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে এই টিম সুরক্ষিত লকারগুলো খুলতে আসে।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে আরও কিছু লকার দেখতে পায়।
এর মধ্যে যাদের নামে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে তাদের নামেও লকার থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে দুদক ওইসব লকারেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে কেউ যাতে ওইসব লকার খুলতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার আর কাউকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, দুদকের অনুসন্ধান দলের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী অন্ততপক্ষে ২৫ জনেরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার লকারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।