জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সব চিহ্ন মুছে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি বক্তব্যের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে বের হন বিক্ষুব্ধরা। পরে ‘তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে’ গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, আল-বেরুনি হলের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্রে রং ঢেলে মুছে দেয়া হয়। এরপর শেখ হাসিনার ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলেন তারা৷ এছাড়া শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’ রাখেন তারা৷
এদিকে, শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙচুর করতে এলে বাধা দেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শাবল ও লাঠি দিয়ে হলের নামফলক ভাঙা হয়। একই সঙ্গে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাবি ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নবীনূর ইসলাম নবীন বলেন, ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন পতিত হাসিনা। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন তিনি। তার সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।
জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান বলেন, দ্রুত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও মুজিববাদের কোনো স্মৃতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে না।