চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি চীন সফর করবেন। আসন্ন দ্বিপক্ষীয় চীন সফরকালে আলোচ্যসূচিতে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা সমস্যা প্রধান্য পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন চীনের বেইজিংয়ে চায়না ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া সাংহাইয়ে সাংহাই ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়াও বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে চীনের সাংহাইয়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বৈঠক করবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফর কূটনীতিতে নতুন বার্তা দেয়ার ইঙ্গিত বহন করছে। এর আগে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকার প্রথম বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সবসময় ভারতের ওপর জোর দিয়েছিল। তবে এবার চীনকে বেছে নেয়া সেই প্রচলন থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন অনেকে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নকল্পে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রভৃতি ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ-চীন ২০২৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করতে চলেছে। এ লক্ষ্যে উভয় দেশ বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। উপদেষ্টার এই সফরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনের শুভ সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম খান মনে করেন, চীন দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সফর শুরু করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে বহুমুখীতা আনার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্র বা লন্ডন দিয়ে শুরু হলেও সাধুবাদ পেত। তবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল না থাকার এই কৌশল প্রশংসার যোগ্য।’