বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন

ডিবিতে আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • সময়: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ৫.৩৫ পিএম
  • ৭ জন

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে কোন আয়নাঘর ও ভাতের হোটেল থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

৫ আগস্টের আগে ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ইউনিটে টর্চার সেল বা আয়নাঘর ছিল, ডিবিতে এখনও কোনো আয়নাঘর আছে কিনা? এমন প্রশ্নের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর বলতে এখানে কোনো কিছু নেই। আর কোন ধরণের আয়নাঘর থাকবেও না। এখন ডিবি পুকুরটা একটু ময়লা আছে। আমরা তাদের বলেছি পুকুরটা যেনো আয়নার মতো করে পরিস্কার করা হয়। ডিবি পুলিশদের বলা হয়েছে, তারা সিভিল পোশাকে কোনো অভিযান বা আসামি গ্রেপ্তার করবে না। তারা অবশ্যই ডিবি জ্যাকেট ও আইডি কার্ড পড়ে অভিযানে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেন আমরা কোনো দুর্নীতি বা আইন বহির্ভূতভাবে কোনো কাজ করছি না। আপনাদের কাছে যদি আমাদের কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রকাশ করে দেন। তবে অবশ্যই সত্যি ঘটনা প্রকাশ করবেন। আপনারা ভারতের বিষয়ে অনেক সত্য সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এজন্য আপনারা ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে কিভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সেব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি।

ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে স্বীকার করে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে আমরা অনেক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

লিবিয়াতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের আটকে রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপন আদায় করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যারা লিবিয়া গিয়ে আটকে আছে। তারা কিন্তু আমাদের অনেক বড় সোর্স অফ ইনকাম। তারা অনেক কষ্ট করে আমাদের দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। তারা আমাদের বড় সম্পদ। তাদের জন্য আমরা সর্বচ্চ কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে তথ্য প্রয়োজন। ভুক্তভোগীদের আমাদের কাছে এসে অভিযোগ দায়ের করার অনুরোধ রইলো।

টেকনাফ সিমান্ত এলাকা প্রচুর অপহরণের ঘটনা ঘটছে, এব্যাপারে আপনারা কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, টেকনাফ সিমান্ত এলাকায় যতজন অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপনারা জানেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সিমান্ত এলাকায় দখল করে রেখেছে। সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো নিযন্ত্রণ নেই। এখন আমাদের দু’পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এখন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা সীমান্ত নিয়ে কোনো বৈঠকে বসতে পারছি না।

সীমান্ত এলাকা অপহরণ ও মাদক চক্র সক্রিয় আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমার সীমানা এলাকায় অপহরণ চক্রের পাশাপাশি কয়েকটি মাদক চক্র সক্রিয় আছে। শুধু এক বদি ধরা পড়েছে। তবে বদি চক্রের অনেক সদস্য এখনও সক্রিয় রয়েছে ৷ আমরা সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছি।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com