বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নতুন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম তা কি আজ বাস্তবায়িত হয়েছে? স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট পতনের আজ প্রায় ৪ মাস হয়ে যাচ্ছে, অথচ দেশ নিয়ে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোর-এর আর. জে গাস্ট মিলনায়তনে বৈষম্যহীন প্রথম বিজয় উদযাপন ও ক্রীড়া সপ্তাহ ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডা. রফিক বলেন, এখনো আমরা দেখতে পাই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য নানান ধরনের আদেশ জারি হচ্ছে। অথচ ভোল পাল্টানো এই গোষ্ঠীর অতীত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ছাত্র রাজনীতি ও পেশাজীবী রাজনীতিতে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ছিল। তারা সে সময়ে পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, এখনও ৫ আগস্টের পর মুখোশ পরিবর্তন করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে প্রভাব রেখে ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, এ কাজে তাদের সহায়তা করছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। এখন আন্তক্যাডার একটা দ্বন্দ্ব কিন্তু তৈরি হয়েছে। জনতার মঞ্চ তৈরি করে যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে ৯৬-তে ক্ষমতায় এনেছিল, তারা নতুনরূপে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের অপসারণ করতে হবে। এদের মদতদাতা কারা জানতে হবে।
ডা. রফিক বলেন, ৭১ ও ২৪ আমাদের গর্বের জায়গা। এই দুই বিষয়ে কোনো আপস নেই। অনেকেই ২৪-কে সামনে এনে ৭১-কে পাশ কাটিয়ে যেতে চায়। তাদের বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
গণতান্ত্রিক সরকার না আসা পযন্ত ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া সংকট উত্তরণের কোনো সুযোগ নেই।
ড্যাব নিটোর শাখার সভাপতি ডা. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ মুহাম্মদ আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান প্রমুখ।