বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ন

দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে সবাই এক হোন

  • সময়: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০.৩৯ এএম
  • ১১ জন

দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াত আমির বলেন, ‘যদি আমরা সবাই ঐকমত্য থাকি তবে দেশের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেব।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপনাদের সর্মথন পেলে শোষণমুক্ত দেশ গড়তে পারবে, ইনশাআল্লাহ।’

রোববার রাতে সৈয়দপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিশাল পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দপুর জামায়াতে ইসলামী শহর শাখার উদ্যোগে এ পথসভা হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল মোনতাকিম।

জামায়াত আমির বলেন, তিনি এমন দেশের স্বপ্ন দেখছেন যেখানে ঘরে-বাইরে এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে, মানুষের ইজ্জত এবং সম্মান নিশ্চিত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, মা-বোনদের জোরপূর্বক পোশাকের প্রতি বাধ্যবাধকতা অর্পণ করব না। মানুষের মনের ওপর জোর চলে না, জোর চলে নিজ দেহের প্রতি। যদি মানসিক পরিবর্তন আসে তবে মানুষের শিক্ষার সঙ্গে শালীনতাতো থাকবে। আমরা মায়ের জাতিকে আপন মায়ের মতো দেখতে চাই, সঙ্গে মায়েদের সম্মান ও নিরাপত্তাও।’

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়- একটি অপশক্তি গোষ্ঠী বিগত সাড়ে পনেরো বছর স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে মানুষকে পক্ষ-বিপক্ষ করে বাংলাদেশকে ভেঙে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জাতিকে এনেসথেসিয়া দিয়ে বেহুঁশ করে রেখেছিল।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রাণের দেশ বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং নৃ-জাতি ভাই-বোনেরা একত্রে বসবাস করে আসছি। অথচ অপশক্তি জনগোষ্ঠীই সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু করে মারামারি লাগিয়ে সমাজকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে এই সমাজকে শোষণ করেছে। জমিজমা দখল করেছে, মানুষের ইজ্জত নিয়ে খেলেছে। আলেমদের বেইজ্জত করেছে, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বেইজ্জত করেছে, বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের গুম করেছে, এমন অনেকের পরিবার জানেই না যে তার পরিবারের গুম হওয়া সদস্যটি বেঁচে আছেন কি না। তারা আয়নাঘর তৈরি করেছে, তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এমনকি ৭২’ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত একই কাজ তারা দফায় দফায় করেছে। অথচ এর দায়ভার তারা এদেশের ইসলামপন্থি জনগণের ওপর চাপিয়েছে। এ চাপানোর কাজ তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল, তাদের চরিত্র এমনই।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো খেয়ে নিজেদেরকে রুষ্ট-পুষ্ট করেছে। দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে শেষ করে সাড়ে পনেরো বছরে সব চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে। চোরের মায়ের বড় গলা কথাটি এদের ক্ষেত্রেই মানায়।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘সাড়ে পনেরো বছর আমরা এ অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম-লড়াই করেছি কিন্তু শেষ ফলাফলটা আমাদের এনে দিয়েছে আমাদের যুব সমাজ। তাদের আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা এবং সেলুট জানাই। তাদের আমরা বুকে ধারণ করি এবং তাদের জন্য আমরা গর্বিত, তারা আমাদেরই সন্তান। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৭ বছর বয়সের তরুণদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন ১২, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ বছর বয়সের আমাদের সন্তানেরা ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদহীন দেশ তথা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে আমাদের উপহার দিয়েছে, আমরা কেন তাদের একটি ভোটের উপহার তাদের হাতে তুলে দিতে পারি না। এদেশ আমাদের সবার। তাই আমরা ঘোষণা দিয়েছি, দেশকে ভাগ-বিভক্তি কাউকে করতে দিব না। আমরা সবগুলো হাত, সবগুলো দল, সব ধর্ম একত্র হয়ে বাংলাদেশকে একটি ফুলের বাগান হিসাবে সাজাব, ইনশাআল্লাহ।’

এ পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com