শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দুর্নীতির নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুনে অনেক নথি পুড়ে যাওয়া এবং সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে যা জনমনে প্রশ্ন তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘রক্তাক্ত মতিহার ও রিজভী আহমেদ ২২ ডিসেম্বর ৮৪’ স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এর আগেও দেখেছি কোনো সচিব, কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনগণের মধ্য থেকে প্রতিবাদ আসে তখনই সচিবালয়ের ফাইল গায়েব হয়ে যায়, সচিবালয়ে ফাইলে আগুন ধরে। গতকাল মধ্যরাতের যে আগুন, আমি কোনো মুখরোচক কথা বলতে চাই না, এই আগুনে অনেক নথিপত্র পুড়ে গেলো, এতে সন্দেহ তৈরি করে। গতকালই সংবাদপত্রে দেখেছি, সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন। নথি চাওয়ার পরেই গভীর রাতে আগুন, এটা জনগণের বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমি এই বিষয়ে বলতে চাই, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি দিয়ে তদন্ত করা উচিত। কারণ গতকাল হাসিনা ও তার দোসরদের কিছু নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ের অনেক নথি পুড়ে যাওয়া এবং সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড এটা মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে, জনমনে প্রশ্ন তৈরি করছে।
অনেকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে সংস্কারের কথা বলেছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন,মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনকেও দেখেছি। এই সংস্কার, সেই সংস্কার করবেন! করেছেন শুধু নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধন করেছেন। আমরা কি দেখলাম? দেখলাম শেখ হাসিনার মতো একজন নিকৃষ্ট স্বৈরাচার দেশকে ১৫ বছর নরকের মধ্যে রেখেছেন। ২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছেন। শেখ হাসিনা, তার পরিবার আর তার দোসররা এই টাকা পাচার করেছেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, এখন এই সংস্কারের কি রূপ হবে, কোন পর্যায়ে আমাদের নিয়ে যাবে সেটা আমরা বলতে পারছি না। আজকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের যেই রূপটি আমরা দেখছি, আমার কাছে মনে হচ্ছে ডালের মধ্যে কিছু কালো পদার্থ রয়েছে। চারদিকের বিভিন্ন ঘটনায় আমরা সঙ্কিত। ব্যক্তিগত ভয়ের জন্য নয়,রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।