সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন

শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, সিরিয়া—এরপর কোন দেশ?

  • সময়: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০.৪৩ এএম
  • ২১ জন

যুগে যুগে জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন অনেক শাসক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এবার দেশ ছেড়ে পালানোর তালিকায় যুক্ত হলেন সিরিয়ার দুই যুগের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এর আগে ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকট ও জনগণের ব্যাপক আন্দোলনের কারণে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

তীব্র আন্দোলনের মুখে এ ধরনের পালানোর ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। বেশ কিছু দেশে স্বৈরশাসন বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন কিংবা বিদেশি চাপের কারণে অনেক সরকার প্রধানই ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকটি দেশে স্বৈরশাসনের পতনের পর বিশ্বব্যাপী নতুন করে আলোচনার তৈরি হয়েছে- শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, সিরিয়া এর পরে কোন দেশ?

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত বা বিলোপ করে স্বৈরশাসন বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন চলছে। পরর্বতীতে এই দেশগুলোতেই ঘটতে পারে এমন বিদ্রোহ কিংবা আন্দোলন। হতে পারে পরবর্তী স্বৈরাচারের পতন।

দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম আলোচনায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে বর্তমানে কিম জং উনের নেতৃত্বে একনায়কতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শাসক পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের বিরোধিতা কঠোর হাতে দমন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে।

চীনও রয়েছে এ দেশগুলোর আলোচনায়। যদিও চীন নিজেদের সমাজতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্র বলে দাবি করে, তবে দেশটির ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) হাতে। দেশটির ক্ষমতা আরো কুক্ষিগত করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, যা একনায়কতান্ত্রিক শাসনের লক্ষণ।

স্বৈরশাসনের তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে বেশ আলোচনায় রয়েছে বেলারুশ। বর্তমানে দেশটিতে আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো বেলারুশ শাসন করছেন। নির্বাচনে কারচুপি এবং বিরোধীদের দমন করার কারণে তার সরকার স্বৈরাচারী বলে বিবেচিত করা হয়।

আলোচনায় থাকা ভেনেজুয়েলা দেশটিও গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে গেছে বলে ধারণা করা হয়। দেশটির শাসক নিকোলাস মাদুরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের দমন, স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা একচেটিয়াভাবে কুক্ষিগত করার অভিযোগ রয়েছে।

বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে আসছে রাশিয়া। আলোচিত শাসক ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। দেশটির শাসনব্যবস্থা অনেকটা স্বৈরতান্ত্রিক রূপ নিয়েছে।

মিয়ানমারেও একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ফলে, স্বৈরশাসনের আলোচনার মধ্যে রয়েছে দেশটি।

ইরানে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিচিত হলেও ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হাতেই ন্যস্ত রয়েছে।

কম্বোডিয়ায় হুন সেনের কয়েক দশকের শাসনকালে স্বৈরশাসন আরো স্পষ্ট হয়েছে। দেশটির শাসনব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক বলা হয়। তবে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, দেশটি কার্যত স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রয়েছে।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com