স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে পৃথকভাবে মিছিল করে।
রাত ১২টার দিকে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের একটি দল ঢাকা কলেজের নর্থ হল ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করতে করতে নীলক্ষেত হয়ে ইডেন কলেজের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। সেখান থেকে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে পলাশী আবাসিক এলাকায় যায় শিক্ষার্থীদের মিছিলটি।
এদিকে বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও মধ্যরাতে রাজপথে নেমে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে মিছিল করেন। এছাড়াও কবি নজরুল কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ঢাবি থেকে মুক্তির দাবিতে হলে ঝটিকা মিছিল করেন।
এসময়, ‘টু জিরো টু ফোর-অ্যাফিলিয়েটেড নো মোর’, ‘শিক্ষা না বাণিজ্য – শিক্ষা শিক্ষা’, ‘ঢাবির প্রহসন মানি না মানবো’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক- সাত কলেজ মুক্তি পাক’, সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিত অধিভুক্তকরণের খেসারত দিচ্ছেন তারা। শিক্ষাজীবন ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এখনো অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অবকাঠামো ও সেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। পরীক্ষার ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা, সেশনজটও রয়েছে।
মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে সাত কলেজ সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ফলের দীর্ঘসূত্রতা, সেশনজট এবং মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রমের অভাব নিয়ে বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে। বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রমেও ভোগান্তি রয়েছে। ঢাবি প্রশাসন এত বড়সংখ্যক শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় পর্যাপ্ত শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ দিতে পারেনি। ফলে মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতিও রয়েছে।
সাত কলেজ ও ঢাবির মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে অভিযোগ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, নিয়মিত পরীক্ষার শিডিউল, ক্লাস এবং ফল-সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছায় না। তাই সাত কলেজের জন্য আলাদা প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। এ বিষয় সামনে রেখেই আমরা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবি জানিয়েছি।