মুম্বাইয়ে আততায়ীর গুলিতে মারা গেছেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিক। আর এই খুনের দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং, যাদের আক্রোশের মূল নিশানায় আছেন অভিনেতা সালমান খান। বারবার ‘ভাইজান’কে তারা খুনের হুমকি দিয়েছে।
এমনকি অভিনেতার ঘনিষ্ঠদের ওপরেও আক্রমণ হতে পারে বলে হুমকি এসেছিল। তাই সালমান-ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বাবা সিদ্দিকের এই পরিণতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লরেন্স বিষ্ণোইদের দাবি, বাবা সিদ্দিক ছিলেন আন্ডাওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমেরও ঘনিষ্ঠ!
শনিবার (১২ অক্টোবর) বাবা সিদ্দিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। এ দিনই সালমানের উদ্দেশে একটি খোলাচিঠি লেখে তারা।
এর আগে গত এপ্রিলে সালমানের বাড়ি গ্যালাক্সি’র সামনে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দুজন গ্রেপ্তার হয়। তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশ হেফাজতেই আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমে। নতুন চিঠিতে এই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছে বিষ্ণোইরা। খোলাচিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘সালমান খান, আমরা কিন্তু এই যুদ্ধ চাইনি। কিন্তু তোমার জন্য আমাদের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।’
এই পোস্টেই বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে উল্লেখ করে বিষ্ণোই গ্যাং। এ জন্যই নাকি কংগ্রেস নেতার ওপর হামলা হয়েছে!
চিঠিতে আরও লেখা হয়, ‘আমাদের কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু যাঁরাই সালমান ও দাউদ বাহিনীকে সাহায্য করেন, তাঁদের সাবধান হওয়া উচিত। আমাদের দলের কোনো ভাইকে যদি মরতে হয়, তার উত্তর আমি দেব। প্রথম আক্রমণটা কখনোই আমরা করি না। জয় শ্রীরাম। জয় ভারত। শহীদদের জয় হোক।’
এদিকে, বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুর পর সালমানের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ছবি দেখে বলিউডে প্রশ্ন উঠছে, বন্ধুর মৃত্যুর জন্য কি নিজেকেই দায়ী করছেন ভাইজান? এ ছাড়া বাবা সিদ্দিকের ঘটনার পর সালমানের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: নিউজ১৮