ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ‘গণহত্যার’ ঘটনায় বিচারকাজ পরিচালনা করতে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চেয়ারম্যানসহ অপর দুই সদস্য আজ মঙ্গলবার ট্র্যাইব্যুনালে এলে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর জানান, আগামীকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অপর বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় করা মামলার বিচার করতে নিয়োগ পাওয়া ট্রাইব্যুনালে তিন বিচারপতি যোগ দিয়েছেন। আমরা বিচারের শুরুর দিন কয়েকটি আবেদন করব। সে বিষয়ে এখনই ডিসক্লোজ করছি না। এটি গোপন রাখাই ভালো।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হবে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব নেন চেয়ারম্যানসহ তিন বিচারক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টে প্রবেশ করেন ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা।
চেয়ারম্যান হিসেবে ট্রাইব্যুনালে রয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে আছেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আজ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের কথা জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সংঘটিত গুম-হত্যা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে চালানো গণহত্যার বিচার করবে এই ট্রাইব্যুন্যাল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী-কর্মকর্তাদের আসামি করে এখন পর্যন্ত ট্রাইবব্যুনালে অন্তত ৬০টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার সেই ট্রাইব্যুনালেই, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত গুম-হত্যার অভিযোগে তাদেরই বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।