বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, হাজারও শহিদদের জীবন দান তখনই পরিপূর্ণ সফল হবে যখন মানুষ তার ভোটাধিকার ফিরে পাবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, যে আন্দোলনে পতিত স্বৈরশাসক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তা জনগণের দীর্ঘ দেড় দশকের অপশাসনের প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ। এই অর্জনকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রকিবুল ইসলাম বকুল এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে কারো ভূমিকা খাটো করা যাবে না উল্লেখ করে রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী ধারাবাহিক আন্দোলনের কারিগর দেশনায়ক তারেক রহমান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সবাই অংশগ্রহণ করেছেন। কারো ভূমিকা খাটো করা যাবে না।
ওয়াসিম, মুগ্ধ এবং আবু সাঈদসহ নিহত শহীদদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় নিশ্চিত করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশিদের ঐক্যই পারবে জনগণের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রলীগ আগে যেভাবে দেশের সকল শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, এখনও তারা ছাত্র সংগঠনের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে আমাদের মাঝে অবিশ্বাস সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। শান্তিকামী ছাত্র সংগঠনগুলোর মাঝে ছাত্রলীগের এজেন্ট ঢুকিয়ে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থির করতে চাচ্ছে। ছাত্রদল তা হতে দেবে না।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন। এখানে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। আমাদের শক্তি অস্ত্র নয়, কলম। আমাদের নেতা তারেক রহমান ছাত্রদলকে আদর্শ সংগঠন হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু পতিত স্বৈরশাসক নিজেই ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো। যে অস্ত্র দিয়ে এখন তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানসহ সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ, সহ সাংগঠনিক, সম্পাদকমন্ডলী।
সভার শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ভোট অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় নিশ্চিত করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকতে হবে।