অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এতে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে আনার সুযোগটিও হাতছাড়া হয় মাদ্রিদের।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে বিলবাওয়ের মাঠে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখে বার্সেলোনার চেয়ে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকত কার্লো আনচেলত্তির দল রিয়াল মাদ্রিদ। আর হাতে থাকা বাড়তি ম্যাচে জিতলে কোনো হিসাব ছাড়াই শীর্ষে চলে যেত ক্লাবটি। কিন্তু বিলবাওয়ের বিপক্ষে হারের পর ১৫ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৩৩, আর শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৭। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ।
স্বাগতিকদের মাঠে শুরু থেকেই বলের দখল রাখলেও সুযোগ তৈরিতে করতে পারেননি রিয়ালের খেলোয়াড়রা। এমনকি প্রথমার্ধে লক্ষ্যে কোনো শটও নিতে পারেননি তারা।
১৫ মিনিট পর মাদ্রিদ ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুদিগার ফাউল হয় প্রতিপক্ষের বক্সে। এমবাপ্পে রিয়ালকে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পান। কিন্তু গত সপ্তাহে লিভারপুলের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগ হারের ম্যাচে পেনাল্টি মিস করা ফ্রান্স ফরোয়ার্ড আবারও দুর্বল শট নেন। অ্যাথলেটিক কিপার জুলেন আগিরেজাবালার জন্য সেটি ঠেকানো বেশ সহজ ছিল।
এই অর্ধে গোল অবশ্য বিলবাও নিজেও পায়নি। বিরতির পর অবশ্য দুদলই মরিয়া ছিল গোলের জন্য। তবে প্রথম গোলটি আদায় করে নেয় বিলবাও। গোলটি করেন আলেসান্দ্রো রেমিরো। ছন্দে ফেরা জুড বেলিংহাম ৭৮ মিনিটে গোল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
পরের মিনিটে ফেডেরিকো ভালভার্দে মারাত্মক ভুলে গোরকা গুরুজেতাকে পাস দিলে তিনি থিবো কোর্তোয়াকে অসহায় বানিয়ে জাল কাঁপান। ৮০ মিনিটে বিলবাওয়ের হয়ে গোরকা গুরুজেটা গোল করে ম্যাচ নিয়ে যায় রিয়ালের হাত থেকে।
এরপর রিয়ালকে আর ফিরতেও দেয়নি তারা। এদিনও মাঠে ছিলেন না চোটে পড়া ভিনিসিয়ুস। ফলে গুরুদায়িত্ব ছিল রদ্রিগো, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও বেলিংহামের ওপর। কিন্তু দলের হার ঠেকাতে পারেননি তারা। শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।