কুটির, ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়াতে নন ব্যাংকিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর সিএমএসএমই খাতে বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের হার কমানো হয়েছে।
খেলাপি ঋণের আগের ধাপ বিশেষ হিসাবে, নিম্নমান ও সন্দেহজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে প্রভিশনের হার কমানো হয়েছে। তবে মন্দ বা আদায় অযোগ্য ঋণের বিপরীতে প্রভিশনের হার কমানো হয়নি। এ হার আগের মতো শতভাগে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকের মতো ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে নিয়মিত ও খেলাপি ঋণের বিপরীতে নির্ধারিত হারে প্রভিশন রাখতে হয়। সিএমএসএমই খাতে প্রভিশন রাখার হার কমানোর ফলে এ খাতে ঋণ বিতরণ করলে কোম্পানিগুলোর ঋণের খরচ কমবে। এ খাতে আটকে তহবিলের পরিমাণ কমে যাবে। ফলে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করতে উৎসাহিত হবে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর বিতরণ করা ঋণের মধ্যে যেসব ঋণ বিশেষ হিসাবে চিহ্নিত হবে সেগুলোর বিপরীতে ৫ শতাংশ, নিম্নমান ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা ক্ষতি মানের চিহ্নিত খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখার বিধান রয়েছে।
বর্তমানে সিএমএসএমই খাতে ঋণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখার হার কমানো হয়েছে। এখন থেকে বিশেষ হিসাবে ঋণের বিপরীতে বকেয়া স্থিতি হতে স্থগিত সুদ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট স্থিতির ওপর ৫ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে।
তবে সিএমএসএমই খাতে বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হবে দশমিক ২৫ শতাংশ। নিম্নমান হিসাবে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে সিএমএসএমই খাতে ৫ শতাংশ ও অন্যান্য ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। সন্দেহজনক হিসাবে চিহ্নিত খেলাপি ঋণের বিপরীতে সিএমএসএমই খাতে ২০ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ৫০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। মন্দ ঋণের বিপরীতে সব খাতেই শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে।