দেশে শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে, ততই তাপমাত্রা কমে আসার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) শীতের দিন ও রাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রকাশ করা সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
গভীর রাত এবং ভোরের দিকে কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশাসহ আবহাওয়া বেশিরভাগ শুষ্ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি মৌসুমী নিম্নচাপ ব্যবস্থা এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এর সম্প্রসারণ এ পরিস্থিতিতে অবদান রেখেছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে-এতে দেশজুড়ে আরও শীত পড়বে।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তন শুরু হয়। এই সময়টিতে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকে, রাতে শীত পড়ে এবং দিন থাকে স্নিগ্ধ।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর মতে, বেশিরভাগ অঞ্চলে দিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। এ সময় রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মতো শহরগুলোতে কম আর্দ্রতার মাত্রা এবং প্রচুর রোদ অনুভূত হয়। এর ফলে বাইরের কাজকর্ম এবং ভ্রমণের জন্য আবহাওয়া অনুকূল হয়।
ঢাকা: দিনের তাপমাত্রা সাধারণত ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে থাকে।
চট্টগ্রাম: উপকূলীয় শহরটিতে হালকা শীতকালীন আবহাওয়া বিরাজ করে। তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে।
সিলেট: পার্বত্য অঞ্চলের জন্য পরিচিত সিলেটে শীতকালীন আবহাওয়া অনুভূত হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসে।
বাংলাদেশে শীতকাল উৎসব ও কৃষিকাজের ঋতু। কৃষকরা এই সময়কে কাজে লাগিয়ে অনুকূল পরিবেশে ধান ও সবজি চাষ করে থাকেন।
শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চলগুলো একইভাবে শীতল আবহাওয়াকে বরণ করে নেয়। আয়োজন করে মেলা, বিবাহ এবং বাইরের অনুষ্ঠানগুলো পুরোদমে চলছে।
তবে শীতের রাত এবং সম্ভাব্য কুয়াশা রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলোতে, কারণ এ সময় তাপমাত্রা কম থাকে এবং রাতে প্রায়শই কুয়াশার কারণে স্বল্প দূরত্বেও স্পষ্ট দেখা যায় না। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়।
এ কারণে এ সময় ভ্রমণকারীদের ভোরের দিকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।