ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবলে ইন্টার মায়ামিকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফিফার বিরুদ্ধে। আর এই বিতর্কের মাঝে লিওনেল মেসির মায়ামি ছাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
আর কতদিন ইন্টার মায়ামিতে খেলবেন লিওনেল মেসি, সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন? ২০২৫ সাল পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ক্লাবের। কিন্তু ততদিনও কি মেসিকে দেখা যাবে না আমেরিকার দলের হয়ে খেলতে? এ জন্য ২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মায়ামিকে। তবে এর জন্য তাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হয়নি। যেহেতু আমেরিকায় এ প্রতিযোগিতা হবে, তাই আয়োজক দেশের ক্লাব হিসাবে সরাসরি খেলার যোগ্যতা পেয়েছে মায়ামি।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফার এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ— মেসিকে প্রতিযোগিতায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেসির মুখ ব্যবহার করে ব্যবসার জন্য ফিফা নিয়ম ভেঙে এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিতর্কের মাঝেই মেসির ক্লাবে থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। মেসি জানিয়েছেন, বিতর্কের মধ্যে তিনি থাকতে চান না। সে কারণে তিনি ক্লাব ছাড়তে চান। দলের কোচ তাতা মার্টিনো জোর গলায় বলতে পারছেন না যে, মেসি ক্লাবেই থাকবেন। তিনি বলেন, আমি জানি না মেসি কত দিন থাকবে। মেসি মায়ামিতে আসার পর এই দলের চেহারা বদলে গেছে। গতবার আমরা ট্রফি জিতেছি। যে দল মেজর লিগ সকারে সবার শেষে থাকত, সেই দল প্লে-অফ খেলেছে। আগামী মৌসুমেও এই ফর্ম ধরে রাখতে চাইব। তার জন্য মেসিকে প্রয়োজন। তবে ও নিজের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে।
মেসি মায়ামিতে যাওয়ার পর থেকে কয়েকবার তার ক্লাব ছাড়ার জল্পনা শোনা গিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত তা সত্যি হয়নি। মেসির খেলা দেখেও মনে হয়নি তিনি মায়ামিতে কোনো সমস্যায় রয়েছেন। বিশেষ করে সুয়ারেজ, আলবা ও বুস্কেৎসের সঙ্গে তার জুটি সাফল্য এনেছে।
২০২৬ সালে আমেরিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ। তার আগে মেসির সে দেশে খেলার গুরুত্ব অনেক বেশি। তিনি যাওয়ার পর থেকে আমেরিকায় ফুটবলের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। মেসি পরের বিশ্বকাপ খেলবেন কিনা তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। যদি তিনি খেলেন তা হলে হয়তো এখনই আমেরিকা ছাড়া সম্ভব হবে না তার পক্ষে।