চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের মাঠে শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে হেরেছে পিএসজি। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে দলটি ম্যাচ হেরেছে ২-১ গোলে। অন্যদিকে একই রাতে প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসব করে জয় তুলেছে বার্সেলোনা। রেডস্টার বেলগ্রেডকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।
ফুটবলে বার্সার জয় রথ চলছেই। রিয়াল মাদ্রিদকে তাদের মাটিতে বিধ্বস্ত করার পর থেকেই ফুরফুরে মেজাজে দলটির ফুটবলাররা। এদিন অবশ্য হয়েছিল তার উল্টো। ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে বসেছিল বার্সা। যদিও শেষমেশ দলটি রক্ষা পায় অফসাইডে গোল বাতিল হলে।
ওই গোলের পর ১৩ মিনিটে এসে প্রথম গোলের স্বাদ পায় বার্সা। ইনিও মার্তিনেজের গোলে বার্সার লিড। যদিও ২৭ মিনিটে রেডস্টার বেলগ্রেডকে সমতায় ফেরান সিলাস এমভুমপার। বিরতির আগে ৪৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলে বার্সেলোনাকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লেভানডফস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রাফিনিয়ার বাড়ানো বল ধরে ব্যবধান ৩-১ করার সুযোগ ছিল পোলিশ তারকার সামনে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বল পোস্টের বাইরে পাঠান তিনি। তবে দ্বিতীয় গোলের আক্ষেপে অবশ্য বেশিক্ষণ পুড়তে হয়নি তাকে। ৫৩তম মিনিটে জুলস কুন্দে ডান পাশ থেকে বক্সের সামনে এমন এক বল বাড়ান, লেভাকে শুধু দাঁড়িয়ে থেকে শরীরটা গোলমুখী করে গায়ে লাগাতে হয়েছে।
লেভানডফস্কির করা দ্বিতীয় গোলটি ছিল উয়েফার প্রতিযোগিতায় বার্সার ৭০০তম।
বার্সেলোনা পরে আরও দুটি গোল পায় জুলস কুন্দের সৌজন্য। এই ফরাসি রাইট ব্যাকের অ্যাসিস্টে ৫৫তম মিনিটে গোলদাতার খাতায় নাম লেখান রাফিনিয়া, ৭৪তম মিনিটে ফারমিন লোপেজ। ৫-১ গোলে পিছিয়ে যাবার পর ৮৪তম মিনিটে মিলসনের সৌজন্যে আরেকটি গোল শোধ করে বেলগ্রেড। ম্যাচ হারে ৫-২ ব্যবধানে।
অন্যদিকে প্যারিসে ১৪ মিনিটে লিড নেয় পিএসজি। গোল করেন জাইর-এমিরি। তবে সেই গোলের চার মিনিট না যেতেই ম্যাচে সমতা টানে আতলেতিকো। নাহুয়েল মোলিনার গোলে ম্যাচে ফেরে দলটি। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল পায়নি কোনো দল। পরে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের শেষ দিকে এসে নাটকীয়ভাবে আতলেতিকোকে জেতান আনহেল কোরেয়া। স্প্যানিশ ক্লাবটি পায় তিন পয়েন্টের নাটকীয় জয়।