দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভোট দিয়েছেন আমেরিকার জনগণ। স্মরণকালের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে একজনকে তাদের বেছে নিতে হচ্ছে। মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যসহ ৫০টি অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে হাতি ও গাধার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এর মাধ্যমেই চূড়ান্ত হচ্ছে কে হচ্ছেন বিশ্ব রাজনীতির সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, স্কাই নিউজ, এপি ও আলজাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা-ট্রাম্প ছাড়াও আরও আছেন চার প্রার্থী। তারা হচ্ছেন গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, লিবার্টারিয়ান পার্টির চেজ অলিভার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল ওয়েস্ট ও রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। এদের মধ্যে আগস্ট মাসে রবার্ট কেনেডি জুনিয়র ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তার নাম ব্যালট থেকে সরাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ কোটি ২০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। এবার যুক্তরাষ্ট্রে মোট যোগ্য ভোটার রয়েছেন ২৪ কোটি ৪০ লাখ। তাদের মধ্যে কতজন ভোট দেন এবং তারা কাকে বেছে নেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। অবশ্য ভোটের দিনের শুরুতেই কমলা হ্যারিস ও ডেনাল্ড ট্রাম্প ভোটারদের তাদের অধিকার আদায় করার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এক্স পোস্টে কমলা ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমেরিকা, তোমার আওয়াজ তোলার এটাই হচ্ছে সেই মুহূর্ত।’ আর মিশিগানে শেষ প্রচারের পরপরই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ প্ল্যাটফর্ম পোস্টে বলেন, ঘর থেকে বেরিয়ে ভোট দেওয়ার এখনই সময়। আমরা সবাই মিলে আমেরিকাকে আবার মহানে পরিণত করতে পারব।’
ছয়টি টাইম জোনে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়েই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। নিউইয়র্ক, নিউ হ্যাম্পশায়ারসহ আরও কিছু অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় ভোট শুরু হয়। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সময়ের হিসাব এক রকম নয়। সিএনএন জানিয়েছে, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বা রাজ্যের কোনো কাউন্টি বা শহরের মধ্যে সবার আগে স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় বা বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এগুলো হলো নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, কানেকটিকাট ও নিউজার্সি। প্রধান অঙ্গরাজ্যে প্রায় সব ভোটকেন্দ্র বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে খোলা হয়। তবে ৫০০ জনের কম ভোটার হলে কেন্দ্র খুলেছে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বা বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। নিউ হ্যাম্পশায়ারে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে সব ভোটকেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকিতে সকাল ৭টায় বা বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভোটকেন্দ্র খোলা হয়। ওহিও, উত্তর ক্যারোলিনা, পশ্চিম ভার্জিনিয়া ও ভার্মন্টে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। আলাবামা, ডেলাওয়্যার, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়, কানসাস, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, মিশিগান, মিসৌরি, পেনসিলভানিয়া, রোড আইল্যান্ড, দক্ষিণ ক্যারোলিনা, টেনেসির বেশির ভাগ কেন্দ্রে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর বাইরে অ্যারিজোনা, আইওয়া, লুইসিয়ানা, মিনেসোটা, সাউথ ডাকোটা, নর্থ ডাকোটা, ওকলাহোমা, টেক্সাস ও উইসকনসিনের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্র স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় বা বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে যুক্ত রয়েছে আলোচিত-সমালোচিত গর্ভপাত ইস্যু। অঙ্গরাজ্যগুলো হলো-অ্যারিজোনা, মিসৌরি, মন্টানা, নেব্রাস্কা, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, মেরিল্যান্ড, নেভাদা, নিউইয়র্ক ও সাউথ ডাকোটা। এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে নিজেদের মত ব্যালটের মাধ্যমে জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
ভোটের ব্যালট দুই বা তিন পাতার : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপার বেশ দীর্ঘ। বিবিসি জানিয়েছে, এ ব্যালট দুই বা তিন পাতার। ব্যালটে শুধু প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নাম নয় বরং পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের (প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট) প্রার্থীদের নাম থাকে। আরও থাকে কমিউনিটি পরিষেবায় অর্থায়নের মতো স্থানীয় নানা উদ্যোগ ও প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। তাই অঙ্গরাজ্য বা এলাকাভেদে ব্যালটের আকারও ভিন্ন হয়। আর একেকটি ব্যালট পূরণ করতে ভোটারদের মোটামুটি ১০ মিনিট সময় লাগে।
কমলা দিয়েছেন আগাম ভোট : নিজ রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় আগাম ভোট দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। রোববার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগানে নির্বাচনি প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি নিজেই এ তথ্য জানান। কমলা জানান, ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি আগাম ভোট দিয়েছেন।
ট্রাম্প ভোট দিলেন ফ্লোরিডায় : ট্রাম্প আগাম ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হলেও তিনি নির্বাচনের দিন ফ্লোরিডায় নিজের ভোট দিয়েছেন। সিএনএন জানিয়েছে, স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পসহ তিনি ফ্লোরিডার পাম বিচের এক কেন্দ্রে ভোট দেন। ভোট দিয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। সব দেখে মনে হচ্ছে, রিপাবলিকানরা দলে দলে ভোট দিতে আসছেন।’ কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখে খুব ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। নির্বাচনের প্রচারের সময় তিনি সব সময়ই আগাম ভোটের পক্ষে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ৩০ ইলেকটোরাল ভোট থাকা ফ্লোরিডায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা দুবার জিতে ছিলেন। আর ২০১৬ ও ২০২০ সালেও এখানে ট্রাম্প জয় লাভ করেছিলেন।
এ নির্বাচনে সবার নজর প্রেসিডেন্ট-ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের দিকে থাকলেও এ দুজন ছাড়াও নির্বাচনের মাধ্যমে মার্কিন ভোটাররা আইনসভার নতুন সদস্যদেরও বেছে নিচ্ছেন। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’ বা প্রতিনিধি পরিষদ এবং উচ্চকক্ষ ‘সিনেট’। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য। এবারের নির্বাচনে মার্কিন নিম্নকক্ষের ৪৩৫টি আসনের সব কটিতেই ভোট হচ্ছে। অন্যদিকে সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর। তবে প্রতি দুই বছর পরপর সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। সে হিসাবে মঙ্গলবারের নির্বাচনে সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে ভোট হয়েছে। ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ১১টিতে নতুন গভর্নর পদেও নির্বাচন হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ বছর পাঁচ হাজারেরও বেশি স্থানীয়, অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন হয়েছে।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে ভোটে ‘ড্র’ : যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে মধ্যরাতেই ভোট দিয়েছেন নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট একটি গ্রামের ভোটাররা। এতে তিনটি করে ভোট পেয়ে ড্র করেছেন কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটার কম থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে ওই গ্রামের ভোট গণনাও শেষ বলে জানিয়েছে সিএনএন অনলাইন। এতে বলা হয়, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ছোট্ট ডিক্সভিল নচ গ্রামের একমাত্র ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে ভোট গ্রহণ করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয় ভোট গ্রহণ ও গণনা। নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের উত্তর প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত বরাবর এ গ্রামের ভোটার সংখ্যা ১০ জনেরও কম। উল্লেখ্য, নিউ হ্যাম্পশায়ারের নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, কোনো আসনে অধিবাসীর সংখ্যা ১০০ জনের কম হলে তারা মধ্যরাত থেকে ভোটকেন্দ্র চালু রাখতে পারে।
সবচেয়ে বড় জয়ের আশা ট্রাম্পের : ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ প্রচারের সমাবেশে দেওয়া সমাপনী বক্তব্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘গৌরবের নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন। সোমবার রাতে মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে জনতার উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) আপনার ভোটের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের প্রতিটি সমস্যার সমাধান করতে পারি এবং আমেরিকাকে প্রকৃতপক্ষে বিশ্বে গৌরবের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি।’ ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর তাকে আবারও প্রেসিডেন্ট করার পরিকল্পনা করেছেন বলেই এই বছরের শুরুতে তিনি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের প্রতারণা করতে হবে এবং তারা করে, তারা আসলে এটি খুব ভালো করে। আমি মনে করি, আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। দেশের ইতিহাসে রাজনৈতিকভাবে বলতে গেলে আমাদের সবচেয়ে বড় জয় হবে।’
প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ : কমলা হ্যারিস সোমবার রাতে প্রচারের শেষ সমাবেশে ফিলাডেলফিয়ায় বলেছেন, পেনসিলভানিয়া নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করে দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘(নির্বাচনি) লড়াই এখনো শেষ হয়নি এবং আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী হয়ে শেষ করতে হবে। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে। প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এ লড়াই কারও বিরুদ্ধে নয়, এটি আমেরিকানদের মর্যাদাপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য।’ কমলা আরও বলেন, ‘মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি, আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আপনারা আমাকে আগেও বলতে শুনেছেন, আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে পছন্দ করি।’ ফিলাডেলফিয়ার মিউজিয়াম অব আর্টসের এই সমাবেশেও কমলা জীবনযাত্রার খরচ কমানো, আবাসন সংকট নিরসন, শিশুসেবা, বয়স্কদের হোমকেয়ার এবং শ্রমিক ও ক্ষুদ্র্র ব্যবসার জন্য কর হ্রাসের মতো প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জয়ী হলে প্রজনন স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য গর্ভপাতের অধিকারের ওপর একটি বিল পাশ করারও প্রতিশ্রুতি দেন। কমলা বলেন, ‘আমরা এই প্রচারণা শুরু করেছি ১০৭ দিন আগে। শুরু থেকেই আমাদের এই লড়াই কোনো কিছুর বিরুদ্ধে নয়, এটি আমেরিকানদের জন্য স্বাধীনতা, সুযোগ ও মর্যাদাপূর্ণ ভবিষ্যতের লড়াই।’
ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ভোটের দিন ওয়াশিংটনে অবস্থান করেন। ভোট শুরুর আগের রাতে তিনি ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। সেখানেই ভোট শেষেও তার একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনের দিন তার প্রচারের পক্ষ থেকে আর কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। এর আগে সোমবার শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় কমলার পক্ষে পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন পপস্টার লেডি গাগা।
আর ট্রাম্প প্রচারণা শেষে ভোটের দিন ফ্লোরিডায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখানেই তার নির্বাচনের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করার কথা রয়েছে।
‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ আহ্বান ৫১ অ্যাটর্নি জেনারেলের : যুক্তরাষ্ট্রে ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও অঞ্চলের ৫১ অ্যাটর্নি জেনারেল। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলদের জোট সম্মিলিতভাবে দেওয়া বিবৃতিতে জনগণকে শান্তিপূর্ণ থাকার এবং ‘ফলাফল সম্পর্কিত যেকোনো সহিংসতা’ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর হলো আইনের শাসনের সর্বোচ্চ প্রমাণ, একটি ঐতিহ্য, যা আমাদের দেশের স্থিতিশীলতার কেন্দ্রবিন্দু। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে আমরা আমাদের জাতিকে রক্ষা করার এবং আমরা যে গণতান্ত্রিক নীতি ধারণ করি, তা সমুন্নত রাখার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে চাই।’
‘আমরা প্রত্যেক আমেরিকানকে ভোট দিতে, নাগরিক আলোচনায় অংশ নিতে এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে সম্মান করার আহ্বান জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। যেকোনো বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে আমরা আইন প্রয়োগ করার জন্য আমাদের ক্ষমতা ব্যবহার করব।’
এছাড়া, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বার কাউন্সিলের সাবেক ও বর্তমান প্রায় ১০০ আইনজীবীর একটি জোট নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আইনজীবীদের মামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘বাস্তব ও দৃঢ় আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনসংক্রান্ত মামলা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপন্ন করে তোলে। একটি কার্যকর গণতন্ত্রে মামলা অবিশ্বাস ছড়ানোর অস্ত্র নয়, ন্যায়বিচারের হাতিয়ার।’