বুরকিনা ফাসোতে সশস্ত্র হামলায় ২০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। সশস্ত্র গোষ্ঠী জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএমি) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৪০ জন। আগে থেকেই সহিংসতায় বিধ্বস্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি।
গত শনিবার কায়া শহরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) উত্তরে অবস্থিত বারসালোঘো অঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় নিরাপত্তা ফাঁড়ি রক্ষার জন্য পরিখা খননকারী লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। হামলার পর বেশ কয়েকজন সেনা নিখোঁজ ছিলেন। এ ছাড়া হামলাকারীরা অস্ত্র ও একটি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যায়।
জেএনআইএম হামলার পরের ভয়াবহ ভিডিও পোস্ট করেছে। সেনেগালের ডাকার থেকে আল জাজিরার নিকোলাস হক বলেন, ‘ভিডিওতে দেখা যায়, নারী, পুরুষ এবং শিশুরা খনন কাজ চলা পরিখার ভেতর পড়ে আছে। এটি তাদের গণকবরে পরিণত হয়েছে।’ নিকোলাস আরো বলেন, ‘বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী শুক্রবার জানতে পারে একটি হামলা হতে চলেছে। এ জন্য জনগণকে তারা পরিখা খননের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। এটি বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার প্রকাশ। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে দেশের অর্ধেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেনাবাহিনী।’ এরপরও হামলাকারীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী। এই বাহিনী আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে তাদের দেশের অর্ধেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন নিকোলাস হক।
উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসোতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, বিশ্বের সবচেয়ে অবহেলিত বাস্তুচ্যুতি সংকটের তালিকায় শীর্ষে রাখা হয়েছে বুরকিনা ফাসোকে।
সূত্র : আলজাজিরা