সদ্যোজাতের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, যকৃত, কিডনি এবং মস্তিষ্কেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়। তারা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে পলিঅ্যামাইড-১২ নামক একটি মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করিয়েছিল। সন্তানের জন্মের পরে তাদের শরীর পরীক্ষা করে এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মানুষের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক ভ্রূণের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তবে এটি দীর্ঘ মেয়াদি ভাবে সন্তানের শরীরের কলাকোষে থাকবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
গবেষণাটি ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা বর্তমান পরিবেশগত সমস্যার একটি নতুন মাত্রা উন্মোচন করেছে।