দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ী টেস্ট খেলতে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেশে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাকিব মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসছেন।
সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিব আল হাসান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের বিদায়ী ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে ফিরতে চাইছেন। সাকিব ইতিমধ্যে বোর্ডকে তার ফিরে আসার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার প্রশ্ন তৈরি হয় তার দেশে ফেরা নিয়ে। যার ফলে একপ্রকার অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় সাকিবের দেশে ফেরা। যদিও নানা তর্ক-বির্তকের পর এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে।
সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না বলে জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ঘরের মাঠে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রোটিয়া সিরিজ সামনে রেখে অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সাকিবের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই ঘোষণা করা হতে পারে স্কোয়াড।
ভারত সিরিজ শেষ করেই যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গিয়েছিলেন সাকিব। সেখানে অবশ্য টুর্নামেন্টে খেলা ঘিরেই ব্যস্ততা ছিল। এরই মধ্যে নীরবতা ভেঙে ফেসবুকে এক পোস্ট আলোড়ন তুলেছিল। আলোচিত সেই স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব ভূমিকা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন সাকিব।
বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফেরার কথা জানিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থনও চেয়েছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। সাকিবের এমন পোস্টের পরপরই অনেকের ধারণা, দেশে ফেরা ও নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের একটা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে সাকিবের।
সাকিবের দেশে আসা কিংবা খেলা শেষে দেশত্যাগ নিয়ে সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো থাকার কথা নয়। আমি যতটুকু জানি। আর আইনের বিষয়টা আইন মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে পারবে। আমি বিশেষজ্ঞও না কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও না।