‘নির্বাচনে হতে হবে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর) পদ্ধতিতে’- জামায়াত ইসলামী নেতাদের এমন বক্তব্য নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। প্রশ্ন উঠছে যে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পদ্ধতিকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কই আগামী নির্বাচনকে সংকটে ফেলে দেয় কি না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এর আগে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হলেও তাতে একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে ভোটের প্রস্তাবকে আমলেই নিতে রাজি নয়। খবর বিবিসি বাংলার।
অন্যদিকে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছে।
এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে যে, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এই বিরোধ নতুন কোনো পরিস্থিতির জন্ম দেয় কি-না, যা আগামী বছরের প্রথমার্ধের সম্ভাব্য নির্বাচনকে সংকটে ফেলে দিতে পারে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, তারা মনে করেন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার ‘ষড়যন্ত্র ও কৌশল’ হিসেবেই এসব ইস্যু সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সময়মতোই হবে। এ নিয়ে সংকট হবে না। মানুষ ভোট দিয়ে তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এবং সেই প্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেই ভোটই মানুষ দেখতে চায়।
বিএনপি নেতাদের অনেকে প্রকাশ্যেই বিভিন্ন সভা সমাবেশে এই পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবের সমালোচনা করছেন। তাদের অভিযোগ ‘নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য বড় জয়’ ঠেকানোর জন্যই এসব প্রস্তাব সামনে আনা হচ্ছে।
যদিও এমন অভিযোগ মানতে রাজি নন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে মানুষ দলকেই ভোট দেয় এবং কোয়ালিটি নির্বাচন ও সংসদের জন্য পিআর পদ্ধতিই সর্বোত্তম বলে মনে করেন তারা।
তিনি অবশ্য এ বিষয়টিকে ঘিরে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আমরাও একই ধরনের কথা বলতে পারি। কিন্তু এটি আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এটা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। একটা সমাধান ঐকমত্য কমিশনের সভা থেকে আসবে।