পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ জানিয়ে তারা সরকারের প্রতি ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নীতি নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ব্যবসায়ী মহলসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। এ ধরনের পদক্ষেপ বিনিয়োগ পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এফআইসিসিআই বলেছে, দেশের মোট বিদেশি বিনিয়োগের ৯০ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনটি তামাক, টেলিকম, জ্বালানি এবং আর্থিক খাতসহ উচ্চ রাজস্ব আয়ের বিভিন্ন খাতে সক্রিয়। দেশের মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে বিদেশি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে। ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা পরিচালনার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন খাতে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রকিউরমেন্টে সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ এবং রেস্তোরাঁয় ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এফআইসিসিআইয়ের মতে, এ ধরনের বৃদ্ধির ফলে ব্যবসার পরিবেশ আরও প্রতিকূল হয়ে উঠেছে।
সংগঠনটি মনে করে, ভ্যাট না বাড়িয়ে সরকারের উচিত ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য কৌশলগত সুযোগ তৈরি করা। এতে রাজস্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, একক ভ্যাট হার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান জটিল ভ্যাট পদ্ধতি সরলীকরণের মাধ্যমে ডিজিটাইজেশনকেও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।