ইতিহাসের রেকর্ড দরপতনের মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় রুপি। মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে রুপির দাম। বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৮৬ ভারতীয় রুপি পাওয়া যাচ্ছে।
গত কিছুদিন ধরেই ডলারের বিপরীতে দরপতন হচ্ছিল ভারতীয় রুপির। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রুপির দাম শূন্য দশমিক চার শতাংশ কমে ৮৬.৩৯ এ পৌঁছেছে।
মার্কিন কর্মসংস্থান প্রতিবেদন প্রত্যাশার চেয়েও শক্তিশালী হওয়ার পর রুপির এই বড় পতন ঘটে, যা ডলারকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে রুপির বিপরীতে। যা ভারতীয় মুদ্রা রুপিসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ওপরও চাপ সৃষ্টি করেছে।
রুপির এমন দরপতনের কারণ হিসেবে জানা গেছে- ইউএস ননফার্ম পে-রোল ডেটা অনুযায়ী, গত মাসে এক লাখ ৬০ হাজার প্রত্যাশার বিপরীতে চাকরিতে যোগদান করেছেন দুই লাখ ৫৬ হাজার জন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সেবা এবং উৎপাদন খাতে শক্তিশালী কর্মক্ষমতা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতাকে আরও একবার প্রমাণ করেছে।
নতুন তথ্যের ভিত্তিতে ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে দ্রুত সুদের হার কমানোর আশাগুলো ক্ষীণ হয়ে গেছে, যা ডলারকে শক্তিশালী করেছে এবং রুপিকে দুর্বল করেছে। রুপির পতনের পেছনে আরেকটি প্রধান কারণ হলো বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ধারাবাহিক বিক্রি। এটি রুপির পতনকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
উল্লেখযোগ্য যে, কেবল এই মাসেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় শেয়ারবাজার থেকে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তুলে নিয়েছেন, যা গত প্রান্তিকে ১১ বিলিয়ন ডলার তুলে নেওয়ার ধারাবাহিকতা।
মার্কিন আর্থিক নীতি নিয়ে উদ্বেগ এবং নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পিত নীতিগুলো ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণেও রুপির ওপর নেতিবাচক প্রভাব বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে রুপির নিম্নমুখী প্রবণতা গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে বাড়তি অস্থিরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।