ভক্তরা ভালোবেসে তাকে ডাকে কিং কোহলি নামে। মেলবোর্ন টেস্টের প্রথমদিন কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ার পর বিরাট কোহলিকে নতুন নাম দিয়েছে অস্ট্রেলীয় মিডিয়া- ‘ক্লাউন কোহলি!’
জোকারের নাক তারা কোহলির নাকের ওপর বড় করে লাগিয়ে পত্রিকায় সেই ছবি ছেপেছে। তাকে ডাকা হচ্ছে ক্লাউন কোহলি, ছিঁচকাঁদুনে বালক বলে!
অথচ মজার বিষয় হলো গত মাসে পার্থে গাভাস্কার- বোর্ডার ক্রিকেট সিরিজ শুরুর আগে কোহলির প্রশংসা পঞ্চমুখ ছিল অস্ট্রেলীয় মিডিয়া। ভারতীয় সমর্থকদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্র কোহলিকে নিয়ে হিন্দি ভাষায় একটা শিরোনামও দিয়েছিল!
ধাক্কা ইস্যুতে আইসিসি শাস্তিও দিয়েছে বিরাট কোহলিকে। তার ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। এক টেস্টের জন্য ১৫ লাখ রূপি ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সে হিসেবে কোহলির ম্যাচ ফির ৩ লাখ রূপি কেটে নেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া দেওয়া হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। এতকিছুর পরও কোহলির ধাক্কা কাণ্ডকে ক্ষমা করতে পারছে না অস্ট্রলিয়ানরা।
বক্সিং ডে টেস্টের প্রথমদিনে মোহাম্মদ সিরাজের দশম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেওয়ার পর প্রান্ত বদল করছিলেন তরুণ ওপেনার স্যাম কনস্টাস। সে সময় তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেন কোহলি। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি কনস্টাস। কোহলির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু করেন এই তরুণ ক্রিকেটার। যদিও উসমান খাজা ও আম্পায়ারদের মধ্যস্থতায় দুজনের বাদানুবাদ বেশি দূর গড়ায়নি।
দৃশ্যপটের সমাপ্তি শেষ হলেও মাঠের বাইরের সমালোচনা শুরু হয় সেখান থেকেই। একের পর এক সমালোচনা ধেয়ে আসছে কোহলির দিকে। আইসিসির কোড অব কন্টাক্ট অমান্য করে কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় তারকা ক্রিকেটারের তীব্র সমালোচনা করেন মাইকেল ভন, রিকি পন্টিংসহ আরও বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার।
মার্ক ওয়াহ, রবি শাস্ত্রী, মার্ক ওয়াহ’রা তো সরাসরিই বলেছেন, অপরাধ অনুযায়ী অনেক কম শাস্তি পেয়েছেন কোহলি। তাদের মতে, আরও বড় শাস্তি হতে পারত ভারতের সাবেক অধিনায়কের।
ব্যাট হাতে এসব সমালোচনার জবাব দেওয়ার একটা দারুণ সুযোগও পেয়েছিলেন কোহলি মেলবোর্নের দ্বিতীয় দিনে। ব্যাটিংয়ে জমেও গিয়েছিলেন। কিন্তু আউট হলেন সেই পুরোনো সমস্যায়-অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে! ৮৬ বলে করেন ৩৬ রান।