অনেকদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করে আসছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সৈন্য সরবরাহ করছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই সমালোচনাকে তারা বেপরোয়া আচরণ বলে দাবি করেছে।
সোমবার রাশিয়ার সমর্থনে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা সংঘাতের বিপজ্জনক সম্প্রসারণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে একটি বিবৃতি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে বলা হয়- উত্তর কোরিয়া ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধিরা।
পশ্চিমাদের এমন বিবৃতি ভালোভাবে নেয়নি উত্তর কোরিয়া। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের এই বিবৃতিকে ‘বেপরোয়া উস্কানি’ বলছে তারা।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন ১০ টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর সাথে পিয়ংইয়ংয়ের ‘স্বাভাবিক সহযোগিতামূলক’ সম্পর্ককে বিকৃত ও অপবাদ দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা উ. কোরিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের যুদ্ধের জন্য সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যার মধ্যে তার সৈন্য প্রত্যাহারও রয়েছে।’
ওয়াশিংটনের এমন বিবৃতির পর পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘এটি গুরুতর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ভাসাল বাহিনীর বেপরোয়া উস্কানিকে কঠোর ভাষায় নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করছি। শত্রু শক্তির এই প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দেয় যে পিয়ংইয়ং এবং মস্কোর মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতা কার্যকরভাবে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের প্রভাব বিস্তারকে রোধ করছে।’