চমক দেখালেন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে জোড়া স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। আন্তঃসার্ভিস জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় তিনটি রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন আনসারের এই ভারোত্তোলক। বুঝিয়ে দিলেন হারিয়ে যাননি এই স্বর্ণকন্যা। এখন তার লক্ষ্য আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করা।
মাবিয়ার কথায়, ‘গত দুটি এসএ গেমসে স্বর্ণ জিতেছি। আগামী এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে চাই।’
২০১৬ সালে গুয়াহাটি এসএ গেমসে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম স্বর্ণপদকটি জিতেছিলেন মাবিয়া আক্তার। ২০১৯ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে ব্যাক টু ব্যাক স্বর্ণ জেতেন মাবিয়া। শুধু এসএ গেমসে নয়, দেশের ঘরোয়া আসরে নিয়মিত স্বর্ণ জিতে আসছেন।
রোববার আন্তঃসার্ভিস জাতীয় ভারোত্তোলনে তিনটি নতুন রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন বাংলাদেশ আনসারের ভারোত্তোলক মাবিয়া। ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ৮৫ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন।
এছাড়া দুটি মিলিয়ে মোট ১৯৬ কেজি তুলে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন মাবিয়া। এই ইভেন্টে একই সংস্থার ফাহিমা আক্তার ময়না অনেক পিছিয়ে থেকে রুপা জেতেন। তিনি স্ন্যাচে ৫৫ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৭০ কেজিসহ মোট ১২৫ কেজি ওজন তোলেন।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট মাবিয়া আক্তারের কথা, ‘আমার খুব ভালো লাগছে তিনটি নতুন রেকর্ড গড়তে পারায়। এখন আমার লক্ষ্য এসএ গেমসে আরেকটি স্বর্ণ জেতার। সেটা হলেই আমার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স হবে।’
সে লক্ষ্যে নিজেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন মাবিয়া, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো কোচ নেই। আমি নিজেই অনুশীলন করি এবং বেশি ভার তোলার চেষ্টা করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। লক্ষ্য পূরণে এ চেষ্টাই কাজে দেবে।’
তবে এসএ গেমসের আগে বাহরাইনে বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেকে পরীক্ষা করতে পারছেন এই স্বর্ণকন্যা। ৬-১৫ ডিসেম্বর রাজধানী মানামায় অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। এই প্রতিযোগিতায় মাবিয়া আক্তার লড়বেন ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে।
এদিকে একই দিনে ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে তিনটি রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতেছেন সেনাবাহিনীর মারজিয়া আক্তার ইকরা। তিনি স্ন্যাচে ৭৬ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৪ কেজি এবং মোট ১৭০ কেজি তুলে এই তিনটি রেকর্ড গড়েন। ৫৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে দুটি নতুন রেকর্ড গড়েছেন সেনাবাহিনীর আরেক ভারোত্তোলক স্মৃতি আক্তার। স্ন্যাচে না পারলেও (৭৬ কেজি) ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৩ কেজি এবং মোট ১৭৯ কেজি তুলে দুটি রেকর্ড গড়েন তিনি।