আগে থেকে অনুমেয় ছিল, তোশাখানার নতুন মামলায় জামিন পেলেও এখনই কারাগার থেকে মুক্তি মিলবে না ইমরান খানের। এরইমধ্যে ইমরানকে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভের সাথে জড়িত থাকার জন্য গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি নিউজ।
প্রতিবেদন অনুসারে, আদিয়ালা কারাগারে যেখানে ইমরান খান বর্তমানে বন্দি রয়েছেন সেখান তাকে আটক দেখায় রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ। নিউ টাউন থানায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পর পুলিশ গ্রেফতার ঘোষণা কার্যকর করে।
গত বছর ৯ থেকে ১২ মে পাকিস্তানজুড়ে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। তবে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভের সময় ইমরান খান কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ওই সময় সাংবাদিক এবং আইনজীবীদের মাধ্যমে কারাগার থেকে জনগণ এবং সমর্থকদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর শর্ত প্রয়োগ, ব্যাপক দমন পীড়নের পর এমনকি ১৪৪ জারির পরও পিটিআই সমাবেশ করে রাওয়ালপিন্ডিতে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সন্ত্রাসবাদের মামলা করে তখন পুলিশ।
এদিকে পৃথম মামলায় ইমরান খানের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে। পরবর্তী তদন্তের জন্য তাকে হেফাজতে রাখা হবে কিনা সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে জামিন দেওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে নতুন মামলায় গ্রেফতারের ঘটনা মূলত ইমরানের কারাজীবন দীর্ঘায়িত করার কৌশল।
এর আগে বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ১০ লাখ রুপি করে দুটি মুচলেকা প্রদানের শর্তে তোশাখানা মামলায় ইমরানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে ইমরানের মুক্তির দাবিতে ২৪ নভেম্বর আবারও রাওয়ালপিন্ডিতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই। বিক্ষোভ ঠেকাতে রাওয়ালপিন্ডিতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এতে সব ধরনের জমায়েত, মিছিল, সমাবেশ এবং চারজনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।