সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণদের কাছে ক্ষমা চাইলেন নরেন্দ্র মোদি

  • সময়: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৫.৪২ পিএম
  • ২১ জন

পশ্চিমবঙ্গের সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’-র উদ্বোধনের সময় ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।

মোদি জানান, পুরো দেশে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ চালু করা যায়নি। কারণ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার সেই প্রকল্প চালু করতে দেয়নি। যার ফলে দেশের বাকি অংশের সত্তরোর্ধ্ব প্রত্যেক নাগরিক যে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’-র আওতায় থাকলেও দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তৃণমূল এবং আপ সরকার ‘রাজনৈতিক স্বার্থে’ সেই কাজটা করলেও মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

মোদি বলেন, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে সত্তরোর্ধ্ব যত প্রবীণ মানুষ আছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি – আমি আপনাদের সেবা করতে পারব না। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমি তো জানতে পারব যে আপনারা কষ্টের মধ্যে আছেন, আমি খবর তো পাব। কিন্তু আমি আপনাদের সহায়তা করতে পারব না। কারণ দিল্লিতে যে সরকার আছে এবং পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার আছে, তারা এই আয়ুষ্মান প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে না। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নিজেদের রাজ্যেরই অসুস্থ লোকেদের সঙ্গে জুলুম করার এই যে প্রবৃত্তি আছে, তা মনুষ্যত্বের কোনও মাপকাঠিতে সেটা উত্তীর্ণ হয় না। আর সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের অধীনে ৫৫ কোটি মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি এখনও এই প্রকল্পে যোগ দেননি। তাই এখনও পর্যন্ত ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ মানুষকে ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলে সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল।

২০১৮ সালে মোদি সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু হয়। পরিবার পিছু বছরে ৫ লাখ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা মেলে এই প্রকল্পে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পলের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এখন এই বিমার মূল্য বাড়ানো সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com