দখলকৃত ফিলিস্তিনে রকেটের পাল্টা হামলা চালিয়ে আরও ১৫ জন ইসরাইলি সেনাকে জখম করেছে হিজবুল্লাহ। সোমবার (২১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এর আগে, রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর সামরিক বাহিনী জানায় যে, লেবানন থেকে রকেট ছোড়ার পর মানারা এবং মার্গালিওত বসতিগুলোতে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২৫টিরও বেশি রকেট কারমিয়েল শহরে আঘাত হানে। অন্য রকেটগুলো অধিকৃত গোলান মালভূমির উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে।
এছাড়াও, কয়েকটি ড্রোন গ্যালিলি অঞ্চলের নেউট মর্দেখাই বসতিতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে অধিকৃত সাফেদ শহরের জিভ মেডিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, লেবানন সীমান্তের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ১৫ জন ইসরাইলি সেনাকে চিকিৎসার জন্য সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবারের বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর সামরিক বাহিনী, সরঞ্জাম, বিমান এবং বসতিগুলোর ওপর ৯টি নতুন অভিযান চালিয়েছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও জানায় যে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ইসরাইলের একটি হারমেস ৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
হিজবুল্লাহর এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরাইলি সামরিক অবস্থানগুলো। যার মধ্যে ছিল খাল্লাত ওয়ারদাহ, মারুন আল-রাস এবং মারকাবা এলাকা। পাশাপাশি কিরিয়াত শিমোনা বসতি এবং বেইত হিলেল ও মালকিয়া সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়।
ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নতুন করে হামলা শুরু করে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। গত এক বছর ধরে চলা এই গণহত্যামূলক আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত ও পঙ্গু হয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ।
নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের এমন দুর্ভোগে তাদের সমর্থন জানিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত হিজবুল্লাহ ৩,১৯৪টিরও বেশি পালটা আক্রমণ চালিয়েছে ইসরাইলি শাসনের সামরিক অবস্থান এবং বসতিগুলোর বিরুদ্ধে।
তাদের ধারাবাহিক হামলার প্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর ৩১ জন এবং গত ২০ অক্টোবর ৫৩ জন ইসরাইলি সেনা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতের খবর তেমনভাবে সামনে আসেনি।
সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ না করলে তারা এই হামলা অব্যাহত রাখবে। সূত্র: ইরনা