সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছে অধিকাংশ শ্রমিক, ৪৫ কারাখানায় এখনো ছুটি

  • সময়: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২.৪৩ পিএম
  • ৩৭ জন
কয়েক দিনের শ্রমিক অসন্তোষ শেষে আজ আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে স্বস্তি ফিরেছে। ৪৫টি কারখানা ছাড়া সব কারখানায় কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন শুরু করেছে শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গতকালের চেয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জিরাবো, নিশ্চিন্তপুর, নরসিংহপুর, সরকার মার্কেট, জামগড়া, বাইপাইলসহ বিভিন্ন এলাকার কারখানাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এ কারখানাগুলোতে উৎপাদন শুরু হবে বলে জানা গেছে।

বিজিএমইএ-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বাড়িয়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা আজ খোলার কথা রয়েছে।

প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হলেও ৪৫টি কারখানায় শ্রমকিরা মালিকপক্ষের সঙ্গে এখনো আলোচনা করছেন। আলোচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছলে ওইসব কারখানাতেই উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।

 

শ্রমিকরা জানায়, অনেক কারখানায় আজ উৎপাদন শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।কিছু কিছু কারখানা এখনো খুলে দেওয়া হয়নি। গেটে এখনো বন্ধের নোটিশ রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা বাসায় ফিরে গেছেন। শ্রমিকরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কাজে ফিরবেন। শ্রমিকরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নাই।বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে। অনেক কারখানায় কাজ পুরোদমে চলছে।

 

শিল্প পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল থেকে কারখানাগুলোতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। প্রায় ৪৫টি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করলেও কাজে যোগ না দিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিছু কিছু কারখানা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। বাকি সব কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। যেসব কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সেসব কারখানার শ্রমিকরা বাসায় ফিরে গেছেন। কোনো ধরনের সড়ক অবরোধ করেনি শ্রমিকরা। অতীতের চেয়ে আজ অনেকটাই শান্ত শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা প্রবেশ করেছে। প্রায় সব কারখানায় কাজ চলমান আছে। প্রায় ৪৫টি কারখানায় দাবি-দাওয়া নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিল না হওয়ায় এখনো তাদের কাজ শুরু করতে পারেনি। কিন্তু শ্রমিকরা অনেক কারখানায় প্রবেশ করেছে। গতকালের চেয়ে এখন পর্যন্ত উৎপাদন ভালো অবস্থায় রয়েছে। বাইরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ আমরা দিচ্ছি না। এখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, শিল্পপুলিশ ও জেলা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। চতুর্দিকে মোবাইল পেট্রল টিমগুলো চলমান আছে।

একই সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সক্রিয় রয়েছেন, কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে ঘটতে না পারে তার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সূত্রঃ কালের কন্ঠ

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com