নিজেদের ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে দুই টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে বুধবার মধ্যরাতে দুই ভাগে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দরে টাইগারসদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা দেন বিসিবি পরিচালকরা। পরে গণমাধ্যমে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, এই সিরিজ জয়কে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন তিনি ও তার দল।
বুধবার রাত ১১টায় এক গ্রুপ, রাত আড়াইটায় আরেক গ্রুপ পা রাখে বাংলাদেশে। শুরুর গ্রুপে ছিলেন অধিনায়ক শান্ত, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা। সবাই ফিরলেও দেশে ফেরেননি সাকিব আল হাসান। তিনি কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে দুবাই থেকেই চলে গেছেন ইংল্যান্ডে।
টেস্ট ক্রিকেটে ২৪ বছরের পথচলায় ১৪৪টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে মাত্র ২১টিতে। এই ২১ জয়ের মধ্যে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড এবং ২০০৯ সালের তৃতীয় সারির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছিল ১২টি জয়। বাকি ৯টি জয়কেই বড় করে দেখা হয়।
এবার মাত্র তৃতীয়বারের মতো দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে দুই সিরিজ জয় ছিল জিম্বাবুয়ে ও ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজে। তাই এটাকে দেশের বাইরে সেরা টেস্ট সিরিজ জয় বলতেই হবে।
অবশ্য শান্ত মনে করছেন সব সংস্করণের সাফল্য মিলিয়েই এটা সেরা অর্জন।
টাইগার অধিনায়ক বলেন, আমার কাছে তো মনে হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা অর্জনগুলোর একটি…। বেস্ট… বেস্ট… আমার মনে হয়, সবচেয়ে বড় অর্জন এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের। এটা শুধু আমার একার ব্যক্তিগত কথা নয়, দলের সবাই এটা বিশ্বাস করে। খুবই ভালো লাগছে।’
এসময় শান্ত আরও বলেন, এই সিরিজটি খুবই ভালো গিয়েছে। আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি, সফরে যাওয়ার আগে এবং ওখানে যাওয়ার পর দলের প্রত্যেকের মানসিকতা, স্কিল নিয়ে চিন্তাভাবনা, সব মিলিয়ে খুব ভালো প্রস্তুতি ছিল এবং প্রত্যেকের ইচ্ছা ছিল যেন আমরা খেলায় জিততে পারি। আমরা পাকিস্তানে তিন দিন আগে গিয়েছিলাম, এটা আমাদেরকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে।
এদিকে এই সিরিজ সামনে রেখে বেশ লম্বা প্রস্তুতি নেয় বাংলাদেশের লাল বলের ক্রিকেটাররা। সিলেট এবং চট্টগ্রামে বিশেষ ক্যাম্প করেছে তারা। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়ায় আগেভাগে পাকিস্তান চলে যায় দলটি।
সূত্রঃ যুগান্তর